বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন

18 Sep 2023, 02:20 PM খবর শেয়ার:
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় এবার জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার এক্সে [সাবেক টুইটার]-এ ইউনেস্কো এ ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পরপরই একইদিন হিন্দুস্তান টাইমসসহ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করে।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানের তালিকায় নিয়ে আসতে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে উদ্যোগী হয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক। তবে সেইসময় স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। আনন্দবাজার পত্রিকায় লিখেছে, শান্তিনিকেতন যে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছে। চলতি বছর মে মাসে ভারত সরকার জানিয়েছিল, সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভায় শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে এবার সেই ঘোষণা দিল ইউনেস্কো।

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরে অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র শান্তিনিকেতন। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীসময়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে একে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ছেলে রথীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন, ‘পৃথিবীর সঙ্গে ভারতকে সংযুক্ত করার সূত্র হিসেবে শান্তিনিকেতন স্কুলকে গড়ে তুলতে হবে।’