সংগীতশিল্পী সাদিয়া আফরীন মল্লিক ৮ অক্টোবর জন্মগ্ৰহণ করেন। তিনি একাধারে কণ্ঠশিল্পী, সাংবাদিক, অধ্যাপক এবং নজরুলগীতির একজন অনুরাগী। সাদিয়া আফরিন মল্লিক ৫ দশক ধরে শুদ্ধ সংগীত, বিশেষ করে নজরুলসংগীত চর্চা করে যাচ্ছেন। নজরুলের গানের প্রচার প্রসারেও রেখে যাচ্ছেন অনন্য ভূমিকা। সাদিয়া আফরিন মল্লিক সৈয়দ মকসুদ আলী এবং নুরুননাহার ফয়জননেসার কন্যা। তার পিতামাতা দুজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ টেলিভিশন চালু হওয়ার সময়ে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠানে গান গাইতেন। মায়ের হাত ধরে শিশু বয়স থেকে ছোটদের আসর ‘খেলাঘর’-এ তার সংগীতজীবন শুরু। এরপর ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্রম শুরু হয়। সংগীতজীবনে তিনি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় বহু সলো কনসার্ট করেছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন চ্যানেল ছাড়াও বিবিসি চ্যানেল, ভয়েস অব আমেরিকা এবং দূরদর্শনে নজরুলসংগীত পরিবেশন করেছেন।
সংগীতশিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিকের তত্ত্বাবধানে জেমস অব নজরুলের ব্যানারে ১৪টি অপ্রচলিত গান দেশের প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিশ্রুতিশীল শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ভিডিও অ্যালবাম আকারে বিটিভি, চ্যানেল আইসহ বেশ কিছু চ্যানেলে প্রচারিত হয় এবং বিপুল দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করে। ছায়ানটে অধ্যয়নকালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তার প্রথম রেকর্ড ‘বিশ্ব দুলালী নবী নন্দিনী’ প্রকাশ হয়। গোল্ড মেডেল নিয়ে ছায়ানট থেকে তিনি সাফল্যের সঙ্গে তার শিক্ষা কার্যক্রম সমাপ্ত করেন। তার উল্লেখযোগ্য একটি রেকর্ড হলো প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সংগীত পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানে এইচএমভি থেকে প্রকাশিত ‘এলো ফুলের মরশুম’।
সাদিয়া আফরিন মল্লিক তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ছায়ানট স্বর্ণ পদক [১৯৭৪], আনন্দধারা স্বর্ণ পদক [১৯৮৬], নজরুল পুরস্কার [২০১৫]-সহ বেশকিছু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। সাদিয়া আফরীন মল্লিকের জন্মদিনে আনন্দভুবনের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।