বিশ্বখ্যাত ফুটবল তারকাদের প্রেমিকাগণ

13 Feb 2024, 01:00 PM ক্রীড়াভুবন শেয়ার:
বিশ্বখ্যাত ফুটবল তারকাদের প্রেমিকাগণ

বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসলে দারুণ একটা উৎসব ভাব চলে আসে পুরো বিশ্ব। মাঠে ভক্তদের আকর্ষণ বেশি থাকে যদিও। মাঠের বাইরে গ্যালারিতে থাকে আরেক আকর্ষণ। কারণ, সেখানেই থাকে ফুটবলারদের প্রেরণা তাদের সঙ্গিনীরা। ফুটবল জগতে তাদের স্ত্রী ও প্রেমিকারা দারুণ সম্মানিত। তাদের ভালোবাসা ও সাপোর্ট সবসময়ই ফুটবলারদের শক্তির উৎস। বিশ্বের নামি-দামি কয়েকজন ফুটবলারদের সঙ্গিনীর কথা জানবো এই আয়োজনে...

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও তার প্রেমিকা স্প্যানিশ মডেল জর্জিনা রদ্রিগেস

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রেমিকা স্প্যানিশ মডেল জর্জিনা রদ্রিগেস। তিনি মূলত আর্জেন্টিনার মেয়ে। পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে জর্জিনা রদ্রিগেজের প্রথম দেখা হয় ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে। প্রথম সাক্ষাতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। স্পেনের জাঁকা নামক শহরে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন জর্জিনা রদ্রিগেজ। তার মা ছিলেন স্প্যানিশ। আর বাবা আর্জেন্টিনার নাগরিক। আকর্ষণীয় ফিগারের এই স্প্যানিশ সুন্দরী নাচেন ভালো। পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। স্পেনে তার মডেলিং ক্যারিয়ার তাক লাগানো। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ঘটনাচক্রে একদিন শুটিংয়ের কাজে সেই দোকানে যান রোনালদো। সেখানে প্রথম দেখাতেই জর্জিনার প্রেমে পড়ে যান পর্তুগজি সুপারস্টার। এরপর দু’জনের মধ্যে পরিচয়। পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। কিন্তু দু’জনেরই যেহেতু পরস্পরের প্রতি ভালো লাগা ছিল, তাই বন্ধুত্বটা প্রেমে রূপ নিতে বেশি সময় লাগেনি। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে জর্জিনা-রোনালদোর এক কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। এরপর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে তাদের যমজ সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু জন্মের সময়েই মারা যায় তাদের শিশুপুত্র।

লিয়োনেল মেসি ও তার স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো

বিশ^সেরা ফুটবলার মেসি প্রেমিক হিসেবেও সেরা। সেই ছোটোবেলার প্রেমকে পরিণত বয়সে পরিণতি দেওয়াটা চাট্টিখানি কথা নয়। মেসির ছোটোবেলার বন্ধু আন্তোনেল্লা। সেই ৫ বছর বয়সে তাদের বন্ধুত্বের শুরু। পরে অবশ্য ১৩ বছর বয়সে আরেক শহরে চলে যান মেসি। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে আবারো দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে রোজারিও শহরে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিয়ে হয় মেসি ও আন্তোনেল্লার। এই দম্পতির প্রথম সন্তান থিয়েগো জন্মগ্রহণ করে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেয় দ্বিতীয় পুত্র মাতের। আর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে আন্তোনেলা তাদের কনিষ্ঠ সন্তান সিরোর জন্ম দেন। তাদের তিন সন্তান থিয়েগো, মাতেও এবং সিরো। পেশাগত দিক থেকে আন্তোনেল্লা একজন সফল মডেল। বিভিন্ন নামিদামি পণ্যের বিজ্ঞাপনে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। এ ছাডাও আর্জেন্টিনায় একটি জনপ্রিয় বুটিক চালান তিনি।

পাওলো দিবালা ও তার বান্ধবী ওরিয়ানা সাবাতিনি

আর্জেন্টিনার আরেক তারকা ফুটবলার পাওলো দিবালা। তার বান্ধবী ওরিয়ানা সাবাতিনি আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা সুন্দরী মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা। আর্জেন্টিনার বিনোদন জগতে সাবাতিনি জনপ্রিয় নাম। তিনি ঘোষিত উভয়কামী। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে তার সঙ্গে দিবালার সম্পর্কের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। আরিয়ানা গ্যান্ডের একটি শোতে তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর থেকে একসঙ্গে একাধিকবার দেখা গেছে বিনোদন এবং ক্রীড়া জগতের দুই তারকাকে।

আশরাফ হাকিমি ও তার স্ত্রী হিবা আবৌক

মরক্কোর তারকা ফুটবলার আশরাফ হাকিমি। তার স্ত্রী হিবা আবৌক একজন স্প্যানিশ মডেল তথা অভিনেত্রী। স্পেনের চলচ্চিত্র জগতে হিবার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। আলভারেস ইউরোপের ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এমিলিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফলোয়ার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। হাকিমি ও হিবার দুই সন্তান। স্পেনের সিনেমার পাশাপাশি টেলিভিশনেও তার দাপট চোখে পড়ার মতো। একাধিক টেলিভিশন শো এবং স্প্যানিশ ছবিতে দেখা গিয়েছে ৩৬ বছরের এই অভিনেত্রীকে। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কসমোপলিটান বিউটি অ্যাওয়ার্ডস জেতেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলার সন হিউং-মিন ও

তার প্রেমিকা ইয়ো সো-ইয়ং

গত বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এশীয় দল হিসেবে তারা গ্রুপ পর্যায়ের খেলাতে হারিয়ে দিয়েছে রোনালদোর পর্তুগালকে। সেই দক্ষিণ কোরীয় দলের তারকা ফুটবলার সন হিউং-মিন। তার প্রেমিকা ইয়ো সো-ইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন জগতের চেনা মুখ ইয়ো সো-ইয়ং। একাধিক ছবি এবং টেলিভিশন শো-তে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সন হিউং-মিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আছেন তিনি।

ট্যামি আব্রাহাম ও তার প্রেমিকা লিয়া মনরো

ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের তারকা খেলোয়াড় ট্যামি আব্রাহাম। তার প্রেমিকা লিয়া মনরো পেশায় মডেল। জন্ম ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে। তিনি ইংল্যান্ডের একজন নামকরা মডেল। মডেলিংয়ের পাশাপাশি তিনি ব্লগিং করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। ট্যামির দীর্ঘদিনের বান্ধবী লিয়া। ক্লাব ফুটবল ম্যাচগুলোতেও ট্যামির বান্ধবীকে দেখা গেছে বারবার। তাদের পরিচয় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি ক্লাবে। সেই থেকেই পরিচয় ও মন দেওয়া নেওয়া শুরু।

ইয়ানিক ক্যারাসকো ও তার স্ত্রী নোইমি হ্যাপার্ট

বেলজিয়ামের ইয়ানিক ক্যারাসকোর স্ত্রী নোইমি হ্যাপার্ট দেশের সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে। একই বছরে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘মিস ইউনিভার্স’-এও তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে হ্যাপার্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মডেলিং ও নৃত্যশীল্পে জড়িত ছিলেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে নোইমির সঙ্গে ক্যারাসকোর বিয়ে হয়। তার আগে বেশ কয়েক বছর প্রেম করেন তারা। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করার পর গ্যালারিতে গিয়ে নোইমিকে চুমু দিয়েছিলেন ক্যারাসকো। 

লেখা : ফাতেমা ইয়াসমিন