গোল্ডকে হোয়াইট বা ফরমাল ইকোনমিতে আনতে হবে -সালমান এফ রহমান

15 Feb 2024, 10:24 PM খবর শেয়ার:
গোল্ডকে হোয়াইট বা ফরমাল ইকোনমিতে আনতে হবে -সালমান এফ রহমান

'সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়' এই প্রতিপাদ্য অঙ্গীকার করে দেশের অলংকার শিল্পকে এগিয়ে নিতে তৃতীয়বারেরমতো রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় [আইসিসিবি] নবরাত্রি হলে ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে তিনদিনব্যপী বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন [বাজুস) -এর আয়োজনে 'বাজুস ফেয়ার-২০২৪' শুরু হয়। মেলা শেষ হয় ১০ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিকেল ৪টায় 'জুয়েলারি শিল্প বিকাশে অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস। প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মো, হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, 'গোল্ড সেক্টরের অনেক কিছু ইনফরমাল ইকোনমিতে বা ব্ল্যাক মার্কেটে আছে। এগুলোর আগে সঠিক ডাটা বের করে দেশের গোল্ডগুলোকে হোয়াইট বা ফরমাল ইকোনমিতে আনতে হবে। তারপর সুন্দর পলিসি সাপোর্ট পেলে এই সেক্টরের বেশির ভাগ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে

সালমান এফ রহমান বলেন, পলিসি সাপোর্ট চাইলে দুই ধরনের পলিসি প্রয়োজন। কারণ, ডমেস্টিক মার্কেট এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটের জন্য পলিসি আলাদা হবে। তাই জুয়েলারি সেক্টরের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন মার্কেটের জন্য সরকারের কাছ থেকে পলিসি চান তারা। তা না হলে এই দুই মার্কেটের জন্য এক প্রকার দ্বন্দ্ব তৈরি হবে।

রফতানির বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, গোল্ড মার্কেটের সম্ভাবনা অনেক হলেও, এখনও রফতানির দিকে যাওয়ার মতো হয়নি। আগে ডমেস্টিক মার্কেট ভালো করে গোছাতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার গোছানোর পরে রফতানির দিকে গেলে এই সেক্টর টেকসই হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা আরো বলেন, কমার্স মিনিস্ট্রি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর এই সেক্টরে প্রধান সহায়তা করতে পারে। পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয়ও এই সেক্টরকে এগিয়ে নিতে পারবে।

গোল্ড রিফাইনারি দেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার যখন এই সেক্টরে পলিসি তৈরি করবে তখন এই গোল্ড রিফাইনারির বিষয়টাও থাকবে। তখন এই রিফাইনারি সেক্টরও নীতির দিক থেকে শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি সরকার যখন কোনো পলিসি তৈরি করে, সেখানে লক্ষ্য রাখবেন কোনো একক প্রতিষ্ঠান যেন একা সব সুবিধা না পায়। সে জন্য এই সেক্টরে যারা থাকবেন তারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নেবেন যাতে সবাই সমানভাবে সমান প্রতিযোগিতায় ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে। এবার বাজুস ফেয়ারে ৯টি প্যাভিলিয়ন, ১৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের স্বনামধন্য ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

বাজুস ফেয়ার-২০২৪-এ প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া ৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, অলংকার নিকেতন [প্রা.) লিমিটেড, আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লি., আপন জুয়েলার্স, জড়োয়া হাউজ [প্রা.] লিমিটেড ও রিজভী জুয়েলার্স।

মিনি প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড বাজার অ্যান্ড গোল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, আলভী জুয়েলার্স, আই, কে জুয়েলার্স লিমিটেড, চৌধুরী গোল্ড, রিয়া জুয়েলার্স, আফতাব জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, রয়েল ডায়মন্ড, দ্য ডায়মন্ড স্টোর, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি, রাজ জুয়েলার্স লিমিটেড, জারা গোল্ড, জায়া গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, সাস ইন্টারন্যাশনাল, দ্য পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স ও ডি ডামাস দ্য আর্ট অব জুয়েলারি।

স্টলে অংশ নেওয়া ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্স, দ্য আই কে জুয়েলার্স, গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স, আয়াত ডায়মন্ডস, সিরাজ জুয়েলার্স, পাপড়ি জুয়েলার্স, ডায়মন্ড প্যালেস, ডায়মন্ড স্কয়ার, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, রাজঐশ্বরী, ডি গোল্ড প্যাশন, বাংলাদেশ সায়েন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট কোম্পানি, জেমস গ্যালারি অ্যান্ড ডায়মন্ড, খোকন জুয়েলার্স ও আরএন মাইক্রোটেক।

আনন্দভুবন ডেস্ক