ঈদের আনন্দে কী খাবেন, কী খাবেন না -মেহেরুন নেসা

11 Jun 2024, 02:15 PM নিবন্ধ শেয়ার:
ঈদের আনন্দে কী খাবেন, কী খাবেন না  -মেহেরুন নেসা


ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ দ্রুত পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে খাদ্যতালিকা হওয়া উচিত। এবার কোরবানির ঈদ গরম আবহাওয়ায় থাকবে। ঈদ মানেই মজার মজার মাংসের খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকে। ঈদে অনেক তেলমশলা ঘি, মাখন দিয়ে রান্না করা হয়। ঈদের দিন খাওয়া যায়। পরের দিন হালকা খাবার খাওয়া উচিত। বয়স অনুপাতে মাছ, গোস্ত, সবজি খেতে পারে। সব রান্নায় তেল ও মশলা পরিমিত ব্যবহার করতে হবে। ঈদে বিরিয়ানি, কাবাব ও ক্রিম দুধসহ মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরি করা হয়। দুইদিন খাওয়া যেতে পারে। বিরিয়ানি মাসে ৩দিন খেতে পারেন।

সবজি ও ফল বেশি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মাছ ও মাংস প্রতিদিন খাবে পরিমাণ হবে ১০০ গ্রাম। মাঝে মাঝে ছোটো মাছ খাওয়ার দরকার, বাচ্চারা খেতে না চাইলে মাছ সিদ্ধ করে বেটে কোফতা করে খাওয়াতে পারেন। মাছের কাটলেট, কোফতা কাবাব করে খাওয়াবেন। মৌসুমী দেশি ফল খাওয়ার অভ্যাস করবেন অনেক সুস্থ থাকবেন। এখন আম, জাম. কাঁঠাল, কচি তালের শাঁস পাওয়া যায়। যারা দেশের বাইরে থাকেন কলা, আঙুর, স্ট্রবেরি, আপেল, কমলা সব ধরনের ফল খাবেন। যারা দেশে থাকেন তারাও খাবেন। প্রতিদিন বাদাম খাবেন... চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, আক্ষরোট, কাজুবাদাম। প্রতিদিন শরীরে প্রটিন প্রয়োজন- মাছ, মাংস ও ভেজিটেরিয়ানদের প্রটিন পাবে ইস্প্রাউট, মটর, ছোলা, সব ধরনের তাল, বাদাম, পনির, সয়াবিনের বিচি গুঁড়া করে ভর্তা করে খাবেন বা সালাদে দিবেন। মিষ্টিকুমড়ার বিচি, লাউবিচি, সিয়াসিড, শিমের বিচি, তিল, তিশি, কাঁঠালবিজ খাবেন।

আমাদের দেশে রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। রক্ত তৈরি হয় কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, কাঁচাকলা, দুধ, ডিম, মাঝে মাঝে লেবু খাওয়া দরকার।

সবসময় ৩০ বছরের পর থেকে পরিমিত খাওয়া উচিত। শরীর ভালো থাকবে, জাঙ্ক ফুড খাবেন না। যেমন- বার্গার, পিৎজা, ভাজাপোড়া খাবার, মাসে ৩দিন খেতে পারেন। প্রচুর পানি পান করতে হবে। দিনে ২ লিটার, মাঝে ফলের জুস খাবেন বাড়িতে তৈরি করে নেবেন।

মিষ্টিজাতীয় খাবার প্রতিদিন খাবেন না। সপ্তাহে দুইদিন খেতে পারেন।

শিশুদের দুধ, ডিম মৌসুমি ফল খাওয়াবেন। মায়েরা নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবেন, সবসময় রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রান্না করবেন। সবজি ১০-১৫ মিনিট রান্না করবেন। পুষ্টিগুণ ভালো থাকে। তেল মশলা কম খাবেন।

সবুজ শাক সবজি তিতাসবজি খাওনোর অভ্যাস করবেন। মাছ, মাংস, ডিম ফ্রিজে পানি ঝরিয়ে শুকনা প্যাকেটে রাখবেন। ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে পানিতে ভিজিয়ে কিছুটা বের করে আবার ফ্রিজে রাখবেন না এতে খারাপ জার্ম তৈরি হয়।

সুবিধা থাকলে প্রতিদিন রান্না করে পরিবারের সকলকে দেবেন। এতে রোগ কম হয়।

সবসময় খাদ্য পুষ্টিযুক্ত হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন। ওজন ও লম্বা অনুপাতে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। 

লেখক : রন্ধনবিদ