ওরা বাংলার বাঘিনী

25 Nov 2024, 02:35 PM কাভার স্টোরি শেয়ার:
ওরা বাংলার বাঘিনী

৩০ অক্টোবর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪-এর ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের দ্বিতীয়বারের মতো সাফ জয় এটি। এর আগে ২০২২-এর ১৯ সেপ্টেম্বর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে একই ভেন্যুতে একই দলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিলেন বাংলার বাঘিনীরা। এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের ৩ খেলায় একটি জয় ও একটি ড্র নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। সেখানে ভুটানকে ৭-১-এর বড়ো ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। তারপর কাক্সিক্ষত শিরোপা জয় লাল-সবুজের পতাকাবাহীদের। বাংলাদেশের এই ১১ কৃতিসন্তানের কথা লিখেছেন শহিদুল ইসলাম এমেল...


সাবিনা খাতুন

দলের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এবং অধিনায়ক সাবিনার জন্ম ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ অক্টোবর খুলনার সাতক্ষীরায়। ফরোয়ার্ডে খেলা এই ফুটবলার আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে এখন পর্যন্ত সর্বাধিকসংখ্যক গোলদাতা। এবারের টুর্নামেন্টে তিনি মোট তিনটি গোল করেন। এর আগের সাফে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের খেতাবটি যুক্ত হয়েছিল তার নামের সঙ্গে। তাছাড়া তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরারও [৮ গোল] হয়েছিলেন।

ঋতুপর্ণা চাকমা

ঋতুপর্ণার জন্ম ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির কাউখালীতে। ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই খেলছেন মধ্যমাঠের দাপুটে খেলোয়াড় হিসেবে। এবারের আসরের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় ৮১ মিনিটের মাথায় তার গোলটিই বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত জয় নিশ্চিত করে। মাঠের বামপ্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার হাওয়ায় ভাসানো শটটি ছিল যেমন নিখুত, তেমনি নান্দনিক। প্রাণপণ চেষ্টা করেও ক্ষিপ্রগতির বলটি নিজের নাগালে নিতে পারেননি নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুম্বাপো। তার হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে গোল লাইন পেরিয়ে জয়ের গন্তব্যে পৌঁছে যায় ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত শটের বলটি। খেলার মোড় ঘোরানো পারফর্মেন্সের জন্য তাকে ম্যাচের সবচেয়ে মূল্যবান [ঠধষঁধনষব] খেলোয়াড় ঘোষণা করা হয়।

সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭ গোলের বিধ্বংসী খেলায়ও একটি গোল করেন ঋতুপর্ণা। গতবারের মতো এবারও তার গোলসংখ্যা দুইটি।


রুপনা চাকমা

বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক রুপনা চাকমার জন্ম ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২ জানুয়ারি। রাঙ্গামাটির নানিয়ার চরের ঘিলাছড়ি পাহাড়ের ভূইয়োদম গ্রামে তার বসবাস। এবারের সাফে টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার অর্জন করেন রুপনা। এ নিয়ে পরপর দু’বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা গোলরক্ষের শিরোপা যুক্ত হলো তার নামের সঙ্গে।

বর্তমান টুর্নামেন্টে মাত্র চারটি গোল রুপনার রচিত দেয়াল টপকে জাল ছুঁতে সক্ষম হয়। ফাইনালে কয়েকটি শট তার হাত ফসকে গেলেও দলের জন্য সেগুলো তেমন বিপর্যয়ের কারণ হয়নি। বরং গেলবারে প্রাচীরের মতো দৃঢ় অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। বিগত টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলো যথেষ্ট বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন। যার ফলে শট নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।

বিগত সাফে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তার প্রহরা ভেদ করে শুধু একবার [ফাইনালে] বল জালে প্রবেশ করার সুযোগ পায়। তার আগের চারটি ম্যাচেই তিনি ছিলেন দুর্ভেদ্য, যা প্রতিপক্ষদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয়।


তহুরা খাতুন

তহুরা খাতুনের জন্ম ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে। তিনি ময়মনসিংহের কলসিন্দুর বাসিন্দা। বাংলার এই ফরোয়ার্ড বাঘিনী এবার সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। গোটা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ১৩টি গোলের মধ্যে তার গোল সংখ্যা ৫টি।

তাঁর অতীতের রেকর্ডগুলোও রীতিমতো ঈর্ষা করার মতো। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ গার্লস রিজিওনাল [সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল] চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড করেন তিনি। সে-বছর ফাইনালে চার ম্যাচে হ্যাটট্রিক-সহ মোট ১০টি গোল ঢোকে তার ঝুলিতে। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে তার হ্যাটট্রিক ছিল একটি। এছাড়া ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের চার জাতি টুর্নামেন্ট জকি সিজিআই অনূর্ধ্ব-১৫-তে তিনি ৩ ম্যাচে ৮ গোল করে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করেন।


মাসুরা পারভিন

সাতক্ষীরার মেয়ে মাসুরার জন্ম ২০০১-এর ১৭ অক্টোবর। সেন্টার ব্যাকে খেলা এই খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত ফুটবল ক্যারিয়ারে খুব কমই গোল করার সুযোগ পান। তবে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে নেপালের বিপক্ষে চরম সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি হলে মাসুরার একটি গোল বাঁচিয়ে দেয় বাংলাদেশ দলকে। এই একটি গোল নিয়েই সেবার জয়ের মালা পরে বাংলার বাঘিনীরা।


মনিকা চাকমা

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ির সুমন্তপাড়া গ্রামের মেয়ে মনিকা খেলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। তার জন্ম ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ বনাম মঙ্গোলিয়ার সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় থাইল্যান্ডে। বাংলাদেশের মেয়েরা ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করে মঙ্গোলিয়াকে। এই ৩টি গোলের মধ্যে একটি ছিল মনিকার, যেটিকে ফিফা ‘জাদুকরী গোল’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সেইসঙ্গে মনিকার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় ‘ম্যাজিকাল চাকমা’ উপাধি। বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সেরা গোলগুলোর তালিকায় যুক্ত আছে নজরকাড়া ওই গেলটি। এবারের সাফে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমার্ধে কোনো গোলই হয়নি দ্বিতীয়ার্ধের সূচনায় প্রথম গোলটি করেন মনিকা। এই গোলটিই দলের জয়ের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।


মারিয়া মান্দা

মারিয়া মান্দার জন্ম ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মে, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার মন্দিরঘোনা গ্রামে। মিডফিল্ডার এই ফুটবলারের রয়েছে নেতৃত্ব দেওয়ার যাবতীয় গুণাবলি। তার সহ-অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার গৌরব অর্জন করে। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে তার অধিনায়কত্বেই গোটা অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে অপরাজেয় হিসেবে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বাঘিনীর দল। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ কোয়ালিফায়ারেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন মারিয়া। অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ ফুটবলেও তার দল ছিল অপ্রতিরোধ্য।


শামসুন্নাহার সিনিয়র

ময়মনসিংহের কলসিন্দুর থেকে কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাংলাদেশ দলে যুক্ত হন। তাদের মধ্যে দু’জনের নামই শামসুন্নাহার। এ দুজনের মধ্যে শামসুন্নাহার সিনিয়র খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে। তার জন্ম ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জানুয়ারি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পজিশনে খেললেও শেষ পর্যন্ত লেফ্ট-ব্যাকেই তিনি থিতু হয়েছেন। দক্ষিণ রানিপুর গ্রামের এই ফুটবলার ২০২২-এর সাফে ডিফেন্ডে নিজের জাত চিনিয়েছেন।

শামসুন্নাহার জুনিয়র

২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মার্চ কলসিন্দুরের মুক্তাগাছা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শামসুন্নাহার। তিনি বরাবরই খেলেন ফরওয়ার্ডে। এবারের সাফ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশে হয়ে প্রথম গোল করার কৃতিত্ব তার। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেখানে মোট চার ম্যাচে এক হ্যাটট্রিকসহ মোট পাঁচটি গোল করেন তিনি। এই অবদানের জন্য তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত জকি ক্লাব চার জাতি টুর্নামেন্টেও তিনি সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন।

সানজিদা আক্তার

কলসিন্দুর নিবাসী অপর বাঘিনী সানজিদার জন্ম ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ মার্চ। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর অর্থনীতি বিভাগের এই শিক্ষার্থী খেলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে তিনি টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব অর্জন করেন। খেলাধুলার বাইরে তাকে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে। মিডিয়া পাড়ায় তিনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পোস্টার গার্ল হিসেবেও খ্যাত।


ওরা এক অনন্য উচ্চতায়

সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথে এক সফল অগ্রযাত্রা। যে পথে হেঁটে জয়ের মালা পরলেন বাংলার বাঘিনী ঋতুপর্ণা, রুপনা, সাবিনা, তহুরা, সানজিদা, মারিয়া, মনিকা, মাসুরা, এবং শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র। এরা প্রত্যেকেই স্বনৈপূণ্যে উজ্জ্বল। অদম্য সাহস ও আন্তরিকতা নিয়ে এরা সম্মিলিতভাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন নতুন এক বাংলাদেশের। এদের আকাশছোঁয়া এই সাফল্যের যাত্রাপথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী ; সেইসঙ্গে একজন নারী হয়ে ফুটবলচর্চা কোনোভাবেই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তাদের সামনে। বরং যোগ্যতা ও ফুটবলের প্রতি অদম্য আবেগের বেগে নিজেদের দেশকে তারা পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়।


মনিকা-ঋতুপর্ণার গোলে আবারো সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে আলো ছড়িয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট ধরে রাখল বাংলার বাঘিনীরা। এই জয়যাত্রায় ফাইনালে আবারো তাদের কাছে হেরেছে স্বাগতিক নেপাল।

৩০ অক্টোবর কাঠমা-ুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।

এদিন প্রথমার্ধে চেষ্টার পরও কেউ সফল না হলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না এনেই বিরতিতে যান দু’দলের ফুটবলাররা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে নেপালের রক্ষণ দেয়াল ভেদ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন মনিকা চাকমা। এরপর অবশ্য সমতায় ফিরতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি স্বাগতিকেরাও।

গোল হজম করার তিন মিনিট পরই ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা প্রীতি রাইয়ের অসাধারণ এক থ্রো পাস ধরে লক্ষ্য ভেদ করেন নেপালি ফরোয়ার্ড আমিশা। এরপর এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দুই দলেরই আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৮১তম মিনিটে বাঁ পাশ দিয়ে দারুণ এক আক্রমণ রচনা করে বাংলাদেশকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন ঋতুপর্ণা চাকমা। এর পরের সময়টুকু নিজেদের জাল অক্ষত রেখে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসেন সাবিনার দল।

সাফে বাংলাদেশের মেয়েদের এটি টানা দ্বিতীয় বিজয়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত গত আসরের শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচও হয়েছিল এই দুই দলের মধ্যেই ; ভেন্যুও ছিল একই। সেবার নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অমোঘ স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

ছবি : বাফুফে