বিশুদ্ধ ফুল : তালুকদার লাভলী

18 Mar 2025, 02:19 PM গল্প শেয়ার:
বিশুদ্ধ ফুল : তালুকদার লাভলী

হরেকরকম ললনারা সেজেগুজে হাতছানি দিচ্ছে, কারো বাঁকা চোখের ইশারা। কারো ঠোঁটে সলজ হাসি। চেহারা যেমনই হোক রঙ্গিণীসাজে সকলেই মেকি প্রেমের নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে কামজলসায়। চুড়ির রিনিঝিনি, নূপুরের নিক্বণ, বিলাসী পান চিবুতে চিবুতে এক রঙ্গিণ চোখের ইশারায় আমন্ত্রণ জানালে, গ্রহণ করলাম আমি। এই কামিনীর চোখজোড়ায় শুধু কামের আল্পনা না, প্রেমের সুরও বাজে। ওর মুখটায় কৃত্রিম রং নেই। প্রকৃতির রং ওর অবয়বে। আরো বিস্মিত হলাম ওর ছোট্টো রুমটায় ঢুকে।

গাদাগাদি করে খানবিশেক বই ছোট্টো সেলফে। জানতে চাইলাম, বই পড় ?

ফুলমালা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর দেয়,

-ছোট্টোবেলা থেকে সঙ্গী ছিল আমার বাবা আর বই ! এই কয়টা বই কয়েকবার পড়া হয়েছে।

বইয়ের নাম দেখে আরো অবাক। বেগম রোকেয়া রচনা সমগ্র, নজরুল, রবীন্দ্র, জীবনানন্দ, বিভূতিভূষণ, জসীম উদ্দীন, মাইকেল, আরো কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ।

ফুলমালার চোখ টলমলো। চাঁদরাতে লাল বেনারশির আঁচলে সৎমা বেঁধে দিয়েছিল লম্পট মেঘ। রাত যত গভীর হয় লম্পট মেঘ ততই জড়িয়ে ধরে। আর সেই লম্পট মেঘের ভেলায় ভাসতে ভাসতে আশ্রয় হয় এই পাপকুঞ্জে। অনার্স পড়ুয়া মেয়েটির কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে স্বপ্নের প্রদীপ। সেই থেকে এই নরকে।

প্রতিদিন শুদ্ধ সমাজের শুদ্ধ পুরুষদের ফেলে দেওয়া রক্তবীজ ডাস্টবিনের মতো বহন করছে। ওর স্কুলমাস্টার বাবার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শিখে মানুষ হবে। সেই বাবা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিভে গেল আলো, আর নিকোষ কালো অন্ধকার শেকলে বাঁধা পড়ল পা।

সেদিন থেকেই মেয়েটার প্রতি একটা মায়া জন্মে। এরপর প্রতি সপ্তাহে দুটো বই নিয়ে যাই। পরের সপ্তাহে দেখি বই দুটো এমনভানে পড়েছে যে গড়গড় করে সব বলে দেয়। আমি এখানে এসে কত ঘণ্টা পার করে দিই বুঝতে পারি না।

সে রাতটা ছিল চাঁদের আলোয় ছড়ানো মিষ্টি। ঘিঞ্জি পল্লির ছোট্টো খুপড়িতে চকি পাতা। চকিটা ছাড়া আর জায়গা নেই। আমি ফুলমালাকে বড়ো রুম নেওয়ার পরামর্শ দিলে, সে বড়ো একটা রুম নিয়ে নেয়। রুমের চারপাশে বই আর বই। ছোট্টো জানালায় চোখ রাখি। এক ফালি চাঁদ। যেন আকাশের আঙিনায় নীরব উৎসব চলছে। ফুলমালা জড়িয়ে আছে আমার বুকজুড়ে।

চাঁদের স্নিগ্ধ আভায় তার ঠেঁাঁটে ফুটে ওঠে আবেগের মখমলের পাপড়ি, একটি সূক্ষ্ম ঘূর্ণি। গোপনে চাপা আওয়াজ। চৌম্বক প্রেমের অমৃত চুম্বনে ওর গোলাপি চিকন ঠোঁটে স্মিত হাসি। চন্দ্রালোকিত কামনার নদীতে ডুব- সাঁতারে মত্ত হলেও ফুলমালার হাতটা আমার হাতে, প্রতিক্রিয়াশূন্য নির্বিকার মুখ, পবিত্র যৌবনের দৃষ্টি, সরলতার আলো মুখে, ভালোবাসার সঞ্জীবিত চোখ দুটো আমার চোখে। আমি জানতে চাইলাম, এমন করে কী দেখছো ?

তোমার সুন্দর বুদ্ধিদীপ্ত মুখ, আর আলো ছড়ানো রোদ।

আমি ওর ঠোঁটে স্পন্দিত শব্দগুলো শুনে নিজের কানকে বিশ^াস করতে পারি না। একজন বেশ্যা এত নান্দনিক হয় কীভাবে !

যদিও ওর মুক্তি নেই এই নরক থেকে, তবুও ওর হৃদয়ে সংরক্ষিত ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত ক্ষতগুলো এলেমেলো হয়ে উদ্বাস্তের মতো বেরিয়ে আসে। একটি স্বপ্নচোখ উঁকি দিচ্ছিল, আমি যেদিন থেকে ফুলমালার ডেরায় পা রেখেছি। যতবার জানতে চেয়েছি সে স্বপের কথা ! ততবারই এড়িয়ে গেছে, বলেছে সময় এলে বলবে। আজ সে স্বপ্নের পথ ধরে চাঁদরাতে তার স্বপ্ন প্রকাশের অনুমতি চাইলে, আমি অভয় দিলাম।

আমার কাছে একটা আবদার করে,

- প্রফেসর, আমি একটা জিনিস চাইব, দেবে?

- কিন্তু, কী ?

- বল, না করবে না । তোমার জন্য কিছু না।

- আচ্ছা বল,

- একটা রক্তবীজ, দেবে ?

- মানে ?

- আমার ঘৃণিত জরায়ুতে তোমার একটা বিশুদ্ধ রক্তবীজ ! কোটি কোটি ভ্রƒণ, কোটি কোটি রক্তবীজ নর্দমায় নিক্ষেপ করেছি। কখনো ইচ্ছে করেনি সে বীজ ধারণ করতে।

ছোটো জানালায় চোখ রাখি। একফালি চাঁদ আকাশটাকে সাজিয়ে তুলেছে। যেন নীরব উৎসব চলছে আকাশের আঙিনায়। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেল। জানালা থেকে চোখ সরিয়ে ফুলমালার চোখে রেখে বলি, কিন্তু ?

- কোনো কিন্তু নয়, কোনোদিন তোমার পরিচয় দেব না। তোমার কোনো ক্ষতি করব না।

পৃথিবীর কেউ জানবে না। আমার জীবনে তো আর কিছু নেই। আমি তোমার বিশুদ্ধ রক্তবীজটাকে শুদ্ধভাবে গড়ব। ভালো বীজের ফসল ভালো হবে। আমার জীবনে তোমার চিহ্ন হয়ে রইবে। আমি যে তোমাকে বড়ো বেশি ভালোবাসি। জানি তুমি ভাবছ, বেশ্যার আবার ভালোবাসা ! তোমার কাছে হয়ত হাস্যকার লাগছে। ...

আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম। আমি তো কোনো মেয়ের ক্ষতি করব না বিধায়, কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াইনি। যেহেতু বায়োলজিক্যাল বিষয়টা রোধ করতে পারি না। সে কারণে এখানে আসি। আর মেয়েটার প্রতি কেন যেন একটা আবেগ, মায়া তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ওর মধ্যে ভালো কিছু গুণ আছে। সবমিলে এখানে আসাটা আমার জন্য নিয়মিত হয়েছে। ফুলমালা কি সেই সুযোগ নিতে চাইছে। আবার ফুলমালার পূর্বইতিহাস ঘাটলে অন্য বেশ্যার সঙ্গে মেলে না।

- ফুলমালা, প্রটেকশনবিহীন সঙ্গ ঠিক হবে ? তুমি তো মাল্টিপুরুষের শয্যাসঙ্গী?

আমার কথার আঁচড় বুকে লেগেছে তা ওর মুখ দেখে টের পেলাম। নিজেকে সামলে নিয়ে ফুলমালাকে বুকে জড়িয়ে বললাম, মন খারাপ করো না।

- প্রফেসর, তুমি হয়ত বিশ^াস করবে না, তুমি যেদিন থেকে বিচরণ করছ আমার মধ্যে, মেলে ধরেছ আমার শরীরী সংলাপ, সেদিন থেকে কেউ লাঙ্গল চষেনি। এই জমি আর কাউকে বিলিয়ে দিইনি।

ওর আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে ব্যর্থ হই। হৃষ্টপুষ্ট বিশুদ্ধ বীজ রোপণ করেছিলাম উর্বর নিষিদ্ধ নন্দনকাননে। আর অঙ্কুরিত বীজ পূর্ণ হয়ে চিৎকার করে জানিয়ে দিল, সে নিষিদ্ধ বাগানে বিশুদ্ধ ফুল।

মেয়েটির একটা নাম চাইলে দিলাম চাঁদনি। মেয়েটার চেহারাটাও আমার মতো। আমার ভেতরে একটু মায়া হচ্ছিল। সেকারণে ভেতরটায় একটা শঙ্কা কাজ করছিল। সামাজিক সভ্যতাকে পরিশুদ্ধ রাখতে বন্ধ করে দিলাম পদচারণা। কিন্তু নিয়ম করে মা মেয়ের খরচটা আমি পাঠিয়ে দিই। ফুলমালা ওই পল্লিতে বাস করেও শরীর বেচার কাজটা আর কখনো করেনি তার জীবদ্দশায়। মেয়েকে পড়াত, আর চোখে চোখে রাখত। স্কুল বয়সী মেয়েটাকে স্কুলে দেওয়ার জন্য পাগল হলেও কোনো স্কুলে দিতে পারেনি? বেশ্যালয়ের মেয়ে স্কুলে ভর্তি নিলে স্কুলের মান থাকে না যে !

ঘরেই পড়ায়। অদ্ভুত বিষয়, চাঁদনি, মায়ের আদর্শে বড়ো হতে থাকে।

একাডেমিক বইগুলো পড়ছে। তার মেধা অবাক করার মতো। একবার বলে দিলে তা আর ভোলে না। বছর দশেক হয়েছে চাঁদনির। প্রাইমারির সকল বই পড়া শেষ। তবে কোনো সার্টিফিকেট নেই। ফুলমালা আমাকে সব জানালেও সামাজিক ঘেরাটোপে পড়ে আমিও নির্বাক। এর মধ্যে চাঁদনি আরবি হরফ রপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে কোরআনের অনুবাদও রপ্ত করেছে।

কুরবানির আগে হজ ব্রত পালনের বিষয়টা মুসলিমরা অনুভব করে। মোবাইলে মা মেয়ে হজ্জের ভিডিও দেখে আর ভাবে যদি হজ করতে পারত। ফুলমালার চোখ ভিজে যায়।

চাঁদনি বুঝতে পারে, মা, কেঁদ না। আমি তোমাকে হজ করাবো।

মেয়েকে জড়িয়ে ধরে। তার জলজ চোখ রোধ করতে পারে না। গাল বেয়ে পড়ছে জলের ধারা। স্বপ্নগুলো এই নরকেই মরে যাচ্ছে। মাও চলে গেল চাঁদনিকে রেখে। যে চাঁদনি মায়ের আদর্শে বেড়ে উঠেছে।

অথচ আজ নামতে হচ্ছে গতর বেচার পেশায়। চোখের জল মুছে, স্বপ্নগুলো মাটিচাপা দিয়ে দিনরাত করছে গতর বেচার কাজ।

আমি ফোন করে ফুলমালাকে না পেয়ে ভাবলাম, হয়তো কোথাও চলে গিয়েছে। প্রথমদিকে মনটা বিষণœ লাগত। তারপর ধীরে ধীরে মুছে যায় আবেগ, মায়া। মাঝে মাঝে ভাবনায় আসত কোথায় কীভাবে আছে ! হয়ত অন্য কোনো পল্লিতে চলে গিয়েছে। হয়ত আমার টাকার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। ধীরে ধীরে স্মৃতির পাতা ঝাপসা ছায়া আসে কাজে মনোযোগ দিই।

চাঁদনি বই গুছাতে গিয়ে একটা ডায়রি চোখে পড়ে। অনেক যতœ করে লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু প্রতিদিনের ঘটনা তারিখের নিচে বর্ণনা করা। মৃত্যুর দিনেও লেখা,

- প্রফেসর, আজ কেন যেন তোমার চেহারাটা বারবার মনে পড়ছে। একটা মিনতি রাখবে ? আমি যদি মরে যাই, আমার কপালে কড়ে আঙুলের ছোঁয়া রাখবে ? অনেকবার মোবাইলে ডায়াল করতে গিয়ে সাহস করিনি। কারণ তুমি আমাকে নিষেধ করেছ। তোমার ভেতরে শঙ্কা আমি যদি আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে দাঁড়াই। মাসে একদিন কথা বলা ছাড়া আর কথা হয় না কোনোদিন।

আমি কখনো আমার কথার বরখেলাপ করব না। আমি বেশ্যা হলে শুদ্ধ রক্তের জন্ম। তোমার দেওয়া রক্তবীজ থেকে যে চারা গাছটির জন্ম হয়েছে। সে গাছটি দশে পা দিলেও তাকে গড়তে পারিনি আমার স্বপ্ন দিয়ে।

নরকের আলো বাতাসে বাড়তে হচ্ছে। তবে, তার মেধা, বুদ্ধি, বিবেক সব তোমার মতো। অবিকল তোমার ফটোকপি। চাঁদনির মধ্যে আমি তোমাকে খুঁজে পাই। তবে, আমার শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকতে নরকের খাতায় নাম তুলতে দেব না। সে রাতেই নরক থেকে বিদায় নেয় ফুলমালা।

চাঁদনি জেনে যায় তার পিতৃ পরিচয়। খুলে দেয় মাটিচাপা স্বপ্নের দরোজা। নতুন করে ছেঁড়াফাটা স্বপ্নগুলোকে জোড়াতালি দিয়ে রিপেয়ার করে।

নিশ্চয়ই তার বাবা হয়ত ফিরিয়ে দেবে না। চাঁদনির হৃদয়ে মিটমিট করে জ¦লছিল মোমের আলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে খুঁজে বের করবে বাবাকে। তার রুমে গিয়ে সালাম দিলে। বসতে বলল- আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে অবাক ! চেনা মনে হচ্ছে। কোথা থেকে, কেন এসেছে, জানতে চাইলে উত্তর দেয়,

-আপনার কাজ শেষে করে আমাকে কিছুটা সময় দেবেন ? আমি কিছু জরুরি কথা বলব, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব।

চাঁদনিকে নিয়ে কেন্টিনে লাঞ্চ করার পর আবার রুমে গিয়ে ফ্রি হয়ে কথা বলার সুযোগ করে দিই।

-আপনি ফুলমালাকে চিনতেন ?

আমার বায়োলজিক্যাল ক্যামেরায় পই পই করে ভেসে ওঠে সকল দৃশ্য। যৌবনবিলাসী মুহূর্তে চাঁদনির নামটা আমারই দেওয়া। মেয়েটির দিকে দৃষ্টি ফেলতেই আঁৎকে উঠলেও ধরা পড়ে নিজের অস্তিত্ব। সত্যিই তো আমার সঙ্গে হবহু মিল। সর্বনাশ। আমি কি করব ! জানাজানি হলে আমি মুখ দেখাব কী করে। আদর্শবান শিক্ষকের তালিকায় আমার নাম, সুশীল সমাজের ক্যাটাগরিতে আমার নাম, সত্যিকার মানবিক মানুষ বলতে আমার উদাহরণ টানে লোকে।

-কেন বলত ?

চাঁদনি প্রশ্ন করে,

-আপনি কি জানেন ফুলমালা পৃথিবীতে নেই।

-না তো, কবে ?

-১০ বছর গত হয়েছে।

-কী হয়েছিল ?

-হয়ত কোনো মরণব্যাধি ঘর বেঁধেছিল মায়ের শরীরে। কোনোদিন তো আমাকে বুঝতে দেয়নি। হঠাৎ করেই না বলে কোন অভিমানে চলে গেছে কে জানে !

সবকিছু শোনার পর আমি বললাম,

-চাঁদনি, ওখানে অনেক সন্তানের জন্ম হয়। তাদের কোনো পিতৃপরিচয় লাগে না। তোমার বিষয়টা তো আলাদা কিছু না। আমি তো একটা সমাজে বাস করি। একটা কাজ করতে পারি, তোমার প্রয়োজনীয় টাকা যা লাগে দেব। তুমি চাইলে ব্যাংকে একটা হিসাব খুলে বড়ো অঙ্কের একটা টাকা ডিপোজিট করে দিই। এক লাখ টাকার একটা চেক দিয়ে বলি, এটা নিয়ে যাও। তুমি আর এসো না ।

-স্যার একটা কথা আজ না বলে পারছি না। আপনার দেওয়া বই পড়ে আমার চোখ খুলেছে। আর সে কারণে বিবেক বোধ বেশ পোক্ত। আপনি তো নিজে মূর্খ্য। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কী শেখাবেন ? আপনি নিজেই অন্ধগলিতে হাবুডুবু খেয়ে জন্ম দিয়েছেন আমাকে। সমাজকে ফাঁকি দিয়ে নরকের জলে ¯œান করে আজ সমাজে বসে আছেন ভালো মানুষ হয়ে। আপনার এই কুৎসিত চেহারাটা ইচ্ছে করলে খুলে দিতে পারি। কিন্তু না, আমি তা করব না। আমি তো আপনার সন্তান। আপনার সম্মান আমি ভিক্ষা দিয়ে গেলাম। এই অসুস্থ সমাজের প্রতিবন্ধী আপনি। তাই করুণা করলাম। মনে রাখবেন, সমাজের মুখোশ পরা অপানাদের মতো পতঙ্গেরা আপনাদের ভেতরে জমে থাকা পবিত্র নূরের আলোগুলো আবর্জনা ভেবে নরকের মাটিতে ফেলে আসেন। আলো থেকে নরকে ফুল ফোটে, মাটি হয় দুর্লভ। সে কারণে মা দুর্গার জীবন পূর্ণ হয় না এই মাটি ব্যতীত। আপনার টাকার চেয়ে আমার গতর বেচা টাকা উত্তম। ছিঃ ! আপানি সভ্যতার মুখোশে মোড়ানো জঘন্য পশু। হ অলঙ্করণ : স্ব. সরকার