বাবাকে ভালোবাসি প্রাণভরে

20 Jun 2021, 01:13 PM খবর শেয়ার:
বাবাকে ভালোবাসি প্রাণভরে

বাবা শব্দটি উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে নির্ভরতার এক অসামান্য ছবি। সন্তানের কাছে বাবা এমন এক ব্যক্তিত্ব যনি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কেননা, প্রতিজন বাবাই তাঁর সন্তানকে তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে আগলে রাখেন। 

আজ বিশ্ব বাবাদিবস। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের দেশে দেশে বাবাদিবস পালিত হয়। এ বছর তৃতীয় রবিবার হিসেবে আজ ২০ জুন পালিত হচ্ছে বাবাদিবস।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকে বাবাদিবস পালন শুরু হয়। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছে থেকেই এই দিবস পালনের সূচনা। 

১৯০৮ থ্রিষ্টাব্দের ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে প্রথম বাবাদিবস পালন করা হয়। এরপর ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুনের তৃতীয় রবিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবাদিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবাদিবস পালনের রীতি চালু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে দিনটির উদ্যাপন আরও আড়ম্বরপূর্ণভাবে হয়ে থাকে। আজ বিশ্বের সব বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছেন সন্তানেরা। ভালোবেসে উপহারও দিচ্ছেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের ওয়ালগুলো ভরে উঠছে বাবাদের ছবিতে। 

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বাবা-মা দুজনই সন্তানকে লালনপালন করে বড়ো করে তোলেন। কারও দায়িত্ব কারও থেকে কম নয়। আধুনিককালে একক পরিবারে বাবার গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনই উপার্জন করেন। কিন্তু এখনো আমাদের দেশের অনেক পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাবার উপার্জনেই সংসারের সব ব্যয় নির্বাহ হয়। সন্তানের শারীরিক, মানসিক দুই ধরনের বেড়ে ওঠার জন্য বাবা তার সবকিছু উজাড় করে দেন। অনেক বাবা নিজে আধ পেট খেয়েও সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেন। সন্তানকে সুস্থ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে বাবা মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বাবার আদর্শ, মূল্যবোধ, চিন্তাচেতনা সন্তানের ওপর দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এ-জন্য বলা হয়ে থাকে, ‘বাপকা ব্যাটা সেপাইকা ঘোড়া’। সন্তানের কল্যাণ-চিন্তাতেই বাবার সারাজীবন ব্যয় হয়।

বিশ^ব্যাপী করোনার ভয়াল থাবায় বর্তমানে অনেক বাবা ভালো নেই। অনেক বাবাই করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন। অনেক বাবা কাজ হারিয়েছেন, অনেকের উপার্জন কমে গেছে। এরপরও সব কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে আগলে রাখছেন বাবা। সন্তানের মুখে হাসি ফেটাতে বাবাদের চেষ্টার অন্ত নেই। আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ বাবাকে শ্রদ্ধ জানাই, প্রাণভরে ভালোবাসি।