কারখানা কমপ্লায়েন্স না হলে পণ্য বিক্রি করতে দেওয়া হবে না : সালমান এফ রহমান

14 Jul 2021, 03:33 PM খবর শেয়ার:
কারখানা কমপ্লায়েন্স না হলে পণ্য বিক্রি করতে দেওয়া হবে না : সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, দেশের প্রতিটি
কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ [কমপ্লায়েন্স] তৈরি করতে হবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক
সহায়তা দেওয়া হবে। কারখানা কমপ্লায়েন্স না হলে পণ্য বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ‘রিভাইভিং দ্য
লেদার সেক্টর ইন দ্য আফটারম্যাথ অব কোভিড-১৯'শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
১৩ জুলাই ২০২১ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম [ইআরএফ], দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও বেসরকারি গবেষণা
সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট [র‌্যাপিড] চামড়াশিল্প নিয়ে এক অনলাইন
আলোচনার আযোজন করে। ওই ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী।
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তিনটি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন
করেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, গবেষণা সংস্থা পলিসি
রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ [পিআরআই]-এর গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক ও
র‌্যাপিড এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবু ইউছুফ। ইআরএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ওয়েবিনারে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের কোনো শিল্প কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ [কমপ্লায়েন্স]
না থাকলে ভবিষ্যতে দেশের বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের
অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের মতো দেশেই বিশেষ তদারকি প্রতিষ্ঠান গঠন করে সব কারখানাকে কমপ্লায়েন্স করা
হবে। [কমপ্লায়েন্স] হওয়ার ক্ষেত্রে কারখানাগুলোকে সরকার দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়ন করবে। ঋণের ব্যবস্থা
করা হবে।
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আমাদের দেশের শিল্প কারখানার বড়ো সমস্যা কমপ্লায়েন্স। তাজরীন
ফ্যাশন ও রানা প্লাজার ঘটনার পর বিদেশি ক্রেতাদের চাপে তৈরি পোশাক শিল্পে কমপ্লায়েন্স হয়েছে।
ব্র্যান্ডগুলোও স্বীকার করছে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স। তবে বড়ো
সমস্যা স্থানীয় বাজারের জন্য যারা পণ্য উৎপাদন করেন তাদের। সর্বশেষ সেজান জুস কারখানায় আগুণের
ঘটনা তার প্রমাণ। সব আন্তর্জাতিক পত্রিকায় এর শিরোনাম হয়েছে। যা আমাদের জন্য নেতিবাচক।