করোনাকালে স্মার্টফোন গ্রাস করছে শৈশব

25 Jul 2021, 04:49 PM খবর শেয়ার:
করোনাকালে স্মার্টফোন গ্রাস করছে শৈশব

কিছু দিন আগে পর্যন্ত ছেলেমেয়ের হাতে স্মার্টফোন দেওয়ার সাহস পেতেন না অভিভাবকেরা। কিন্তু করোনাকালে অন্ন-বস্ত্রের মতোই স্মার্টফোনও প্রাথমিক চাহিদায় পরিণত হয়েছে। তবে শিশুরা তা প্রয়োজনে যত না ব্যবহার করছে, তার চেয়ে বেশি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং মেসেজিংয়ের কাজে ব্যবহার করছে। দশ বছরের শিশুও অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে ফেসবুকে। সম্প্রতি ভারতে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।

আননন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা না থাকায় স্মার্টফোন এবং ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের ফলে শিশুদের শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে, তাদের সামাজিক আচরণ কতটা প্রভাবিত হচ্ছে, তা নিয়ে ভারতের ছয়টি রাজ্যের মানুষের উপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয় কেন্দ্রীয়ভাবে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, করোনাকালে পড়াশোনার মাধ্যম হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন এবং ট্যাব। কিন্তু মাত্র ১০.১ শতাংশ ছেলেমেয়েই পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করতে ভালোবাসে। ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের সাহায্যে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারের দিকে ঝোঁক ৫৯.২ শতাংশ ছেলেমেয়ের।

৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ৩০.২ শতাংশেরই নিজের নিজের স্মার্টফোন রয়েছে বলে জানা গেছে সমীক্ষায়। তাতে দেখা গেছে, স্মার্টফোনের অধিকারী ১০ বছর বয়সীদের ৩৭.৮ শতাংশেরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ১০ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ২৪.৩ শতাংশ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনাকালে ১৩ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, তাদের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। আর বাবা-মায়েদের সম্মতিতেই তা সম্ভব হচ্ছে। কারণ ১২-১৩ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে আজকাল আর আপত্তি করছেন না বাবা-মায়েরা। বরং ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট দেওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও ইতস্তত বোধ করেন।

বাংলাদেশে যদি এমন সমীক্ষা চালানো হয় তাহলে চিত্রটি এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না বলেই বিশেষজ্ঞমহল মনে করছেন।