যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ফার্মার ব্যাকলোফেন

27 Jul 2021, 10:31 AM খবর শেয়ার:
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ফার্মার ব্যাকলোফেন

দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদিত ব্যাকলোফেন [১০ এবং ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট] যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন [এফডিএ]-এর অনুমোদন পেয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ওষুধের এই বাজারে নিজেদের নবম ওষুধ রপ্তানির অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
ব্যাকলোফেন পেশী শিথিলকারী একটি ওষুধ। এটি মেরুদণ্ডের আঘাত ও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পেশীর ব্যথা, সংকোচন এবং জটিল চিকিৎসার জন্য প্রয়োগ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বর্তমানে ৯টি কোম্পানি ব্যাকলোফেন বাজারজাত করছে। ২০২০ সালে ব্যাকলোফেনের মোট বাজার ছিল প্রায় ১১০ মিলিয়ন ডলারের।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাকলোফেনের অনুমোদন পেয়ে আমরা আনন্দিত এবং আমাদের প্রত্যাশা এই বহুল প্রচলিত ওষুধটি বাজারজাতকরণের মাধ্যমে আমরা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসার পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম হব।’
করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ওষুধের রপ্তানি বেশ বেড়েছে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের অন্তর্ভুক্তি, গুণগত মানের উন্নয়ন ও সরকারের নীতি সহায়তার কারণে ওষুধ শিল্পখাতে সুবাতাস বইছে। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ডলারের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রপ্তানি করেছে। বর্তমান বাজার দরে [প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা] টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের [২০১৯-২০] চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। ওষুধশিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, গত অর্থবছরে কেবল কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রপ্তানি থেকেই আয় হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ওষুধ রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশই দখল করে আছে বেক্সিমকো।