দোহার পৌরসভার ২১ বছর পূর্তি

29 Sep 2021, 05:15 PM খবর শেয়ার:
দোহার পৌরসভার ২১ বছর পূর্তি



২৬ সেপ্টেম্বর ছিল ঢাকা জেলার অন্তর্গত দোহার পৌরসভার ২২তম জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে  পৌরভবনের কনফারেন্স কক্ষে জন্মদিন উদযাপন ও উন্নয়ন পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে পৌরসভার সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ রহিম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান, সচিব নাসরিন জাহান, নয়টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ,  পৌরসভার কর্মকতা ও কর্মচারীবৃন্দ।  অনুষ্ঠানে বক্তারা পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও পৌরবাসীর বিভিন্ন সমস্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 


এক নজরে দোহার পৌরসভা

ঢাকা জেলার অন্তর্গত দোহার উপজেলা প্রথম বৃটিশ শাসনামলে ১৯২৬ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর পাকিস্তান আমলেও এটি পুর্ব পাকিস্তানের একটি থানা হিসেবেই থেকে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এটি থানা হিসেবেই থেকে যায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে দোহার ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে উন্নীত হয়। উপজেলা  প্রতিষ্ঠা লাভের পর  এই অঞ্চলে আর্থিক কর্মকান্ড বেড়ে যায়। এখানকার সবচেয়ে বড়ো বাজার জয়পাড়া— যেটা একসময় দেবীনগর নামে পরিচিত ছিল।  উপজেলা হওয়ার পর থেকে বাজার কেন্দ্রিক দ্রুত নগরায়ন ঘটতে থাকে। এই নগরায়নের পেছনে এই অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী জনগোষ্ঠীরও বিরাট ভুমিকা রয়েছে। দ্রুত নগরায়নের ফলে নাগরিক চাহিদা বাড়তে থাকে, যা জয়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশি­ষ্ট ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পক্ষে মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না।  যার ফলে দোহার উপজেলার কেন্দ্রীয় শহরাংশ অর্থাৎ জয়পাড়া ইউনিয়ন [সম্পূর্ণ], সুতারপাড়া ইউনিয়ন [আংশিক] এবং রাইপাড়া ইউনিয়ন [আংশিক] নিয়ে ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে পৌরসভাটি যাত্রা শুরু করে। 


জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময়ে এই অঞ্চলের হিন্দু জমিদারগণ গিতিগানের ভক্ত ছিলেন। যারা এই গিতিগানে মূলগায়কের সহযোগী বা দ্বিতীয় পক্ষ হিসেবে গান গাইতেন তাদেরকে স্থানীয়ভাবে দোহার বলা হত। হিন্দু জমিদারগণ এই দোহারগণকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপনের অনুমতি দেন। সেই থেকে এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় দোহার। বৃটিশ শাসনামলে এই অঞ্চল হিন্দু জমিদারগণ শাসন করতেন। ১৯২০ সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন দ্বারা এই অঞ্চলের জনগণ দারুন ভাবে প্রভাবিত হয়। ১৮৯২—৯৩ সালে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখানে অভয় আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪০ সালে গান্ধী সেবা সংঘের সমগ্র ভারত সম্মেলন এই উপজেলার মালিকান্দা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন উপলক্ষে মহাত্না গান্ধী এখানে এসে দুই দিন অবস্থান করেন।


ঢাকা জেলার দক্ষিণ—পশ্চিমে অবস্থিত দোহার পৌরসভা । পৌরসভাটি ঢাকা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ—পশ্চিমে, প্রমত্তা পদ্মা নদী থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং মাওয়াঘাট থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর—পশ্চিমে অবস্থিত। অর্থাৎ পৌরসভাটি উত্তরে ইছামতি নদী ও নবাবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণ—পশ্চিমে পদ্মা নদী এবং পূর্বে আড়িয়াল বিল দ্বারা বেষ্টিত।

দোহার পৌরসভার আয়তন ২১.১২ বর্গ কি.মি., ওর্য়াড সংখ্যা ০৯, হোল্ডিং সংখ্যা ১৩,৮০০ এবং বর্তমান জনসংখ্যা ৭৭,৮০০ হলেও বর্তমানে সংঙ্কুচিত হয়েছে। 


দোহার পৌরসভা প্রতিষ্ঠালাভের প্রায় তিনবছরের মধ্যেই ২০০৩ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে  এবং ১০ বছরের মধ্যে ২০১০ সালে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত হয়।  দোহার পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের গুনগত মান নিশ্চিতকল্পে পৌরসভার রয়েছে নিজস্ব কোয়ালিটি কন্টে্রাল ল্যাবরেটরী। এছাড়া কর্মকর্তা বৃন্দের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে পৌরসভার রয়েছে নিজস্ব ত্রিতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন।

দোহার পৌরসভা প্রতিবছরই তার নিজস্ব রাজস্ব আয়ের অর্থ এবং সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থ দিয়ে প্রতি ওয়ার্ডে রাস্তা পাকাকরণ বা সেমিপাকা/কাঁচা রাস্তা নির্মাণ, ড্রেনেজ, কালর্ভাট, পুকুরঘাট, কবরস্থান, স্কুলমাঠ, পাবলিক টয়লেট, লাইটিং, গভীর নলকূপ স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে খাকে।  বর্তমানেও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে দোহার পৌরসভায় পানিসরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে । এই প্রকল্পের আওতায় দোহার পৌরসভায় গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সহ পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম এবং ¯­াজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সহ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। 

পৌরসভার সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে পৌর এলাকার সুষম উন্নয়ন এবং পৌরবাসীর নাগরীক সুযোগ—সুবিধা প্রদানের জন্য পৌর কর্মকর্তাÑ কর্মচারীসহ পৌর পরিষদ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।


বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনয়োগখ্যাত উপদেষ্ঠা জনাব সালমান এফ রহমান ঢাকা ১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পৌরসভার কাজের গতি বাড়তে থাকে। সেটার তদারকির দায়িত্ব দেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনকে। 

শুধু এখানেই শেষ নয় পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা কাল থেকে প্রথমবার নিবার্চন হওয়ার পর নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর নির্বাচন হয় নি দোহার পৌরসভার। যার ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়। পৌরসভার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন পৌরবাসী।

এমন অবস্থায় মাননীয় সাংসদ জনাব সালমান এফ রহমান ও দোহার উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যানের কাছে এ অঞ্চলের নাগরিকের প্রধান দাবি হয়ে দাঁড়ায় দোহার পৌরসভার নির্বাচন। মাননীয় সাংসদ জনাব সালমান এফ রহমান এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনকে দায়িত্ব দেন মামলাগুলো তুলে নির্বাচন ত্বরান্তরিত করার। নানা জটিলতা ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে অবশেষে খুব শিগগিরই নির্বাচনের আলোর মুখ দেখছেন পৌরবাসী। ইতোমধ্যে দোহার পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়ন পরিষদে নিবার্চনী হওয়া বইতে শুরু করেছে। 


এমন সুখবরে পুরো দোহারবাসি ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন। পৌরসভার ২১ বছর পূর্তি ও পযার্লোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মো. 


আলমগীর হোসেন বলেন...

পৌরসভার মেয়র আলহাজ রহিম বলেন...

পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন....