দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করবো -সালমান এফ রহমান

02 Oct 2021, 06:35 PM খবর শেয়ার:
দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করবো  -সালমান এফ রহমান


 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি  শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা ১ আসন দোহার নবাবগঞ্জ এর সংসদ সদস্য জনাব সালমান এফ রহমান বলেছেন কথা দিয়েছি দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করবো। ইনশাআল্লাহ তা বাস্তবায়ন করবো। মুজিববর্ষ উপলক্ষে 

ঢাকার নবাবগঞ্জের দেওতলা ইছামতি নদীতে প্রায় অর্ধ শতবছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাইচ প্রতিযোগিতায় খানবাড়ি চ্যাম্পিয়ন ও শেখ আব্দুল খালেক দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। 

বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি।  তার আসার খবর পেয়ে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নামে অনুষ্ঠানে।  প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার জন্য নদীর দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে মানুষ  অপেক্ষা করতে থাকে। প্রিয় নেতাও নৌকা যোগে তাদের অভিবাদন জানান। 

অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ও দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন ও নবাবগঞ্জ নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলুসহ আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মী।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান সংক্ষিপ্ত  বক্তব্যে বলেন, ‘এই করোনাকালেও দোহার নবাবগঞ্জের উন্নয়ন হয়েছে। কথা দিয়েছিলাম দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করবো।  যেসব কথা দিয়েছি, ইনশাআল্লাহ  তা বাস্তবায়ন করব। বৈশ্বিক মহামারীর কথা আমরা সবাই জানি। আমরা মহামারী কাটিয়েছি। এই মহামারী কাটিয়ে আবার অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে।মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশের উন্নয়ন অব্যাহত ছিল। আমাদের দোহার নবাবগঞ্জেও উন্নয়ন হয়েছে। ‘


বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উৎসবের আমেজ ছিল। ইছামতির দুপাড় সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। 

প্রায় অর্ধ শতবছর যাবত এই অঞ্চলে বাংলা সনের ভাদ্র মাসে মাসব্যাপী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে করোনার কারণে গেল  দু'বছর পর এবার বাংলা সনের আশ্বিন মাসে এই আয়োজন করা হয়।

বাইচ শেষ দেওতলা নবারুণ সংঘ ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সভাপতি মো. মাসুদ মোল্লার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় নেতাকর্মীরা নদীর আগের যৌবন ফিরিয়ে আনার জন্য ড্রেজিং এবং ইছামতি-পদ্মা নদীর সংযোগস্থলে সুইচগেট নির্মাণের দাবি জানান।


বাইচে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, সিংগাইর এবং ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আকর্ষণীয় বিশালাকৃতির নৌকাগুলো এতে অংশগ্রহণ করে। 


আয়োজন প্রসঙ্গে দেওতলা নবারুণ সংঘের সভাপতি মো. মাসুদ মোল্লা বলেন, গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য প্রতিবছরই গ্রামবাসীর সহায়তায় এই নৌকা বাইচের আয়োজন করি। গেল দুই বছর করোনার কারণে আমরা এ আয়োজন থেকে বিরত ছিলাম। তবে এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাব কম থাকায় অনুমতি সাপেক্ষে নৌকা বাইচের আয়োজন করেছি।