ফাইভজি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

01 Feb 2022, 01:57 PM প্রযুক্তি শেয়ার:
ফাইভজি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

ফাইভজি যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবার উদ্বোধন করেন। সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ফাইভজি সেবার উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে এই পরিসেবা চালু করেছে। স্থানগুলো হলো- গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বাংলাদেশ সচিবালয়, সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ এবং ঢাকার শেরেবাংলা নগর। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এই সেবা চালু করেছে। এই বছরের মার্চে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ নিলামের পরে বেসরকারি অপারেটরেরা আগামী বছর ফাইভজি চালু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। টেলিকমিউনিকেশনে ফাইভজি হলো ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কগুলোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির মান, যেটি সেলুলার ফোন কোম্পানিগুলো ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বব্যাপী স্থাপন করতে শুরু করেছিল এবং ফোরজি নেটওয়ার্কগুলোর পরিকল্পিত উত্তরসূরি, যা বেশির ভাগ বর্তমান মুঠোফোনগুলোতে সংযোগ প্রদান করে। জিএসএম অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ফাইভজি নেটওয়ার্কে ১ দশমিক ৭ বিলিয়নের বেশি গ্রাহক থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রাজধানীর একটি হোটেল থেকে ‘নিউ এরা উইথ ফাইভজি’ শিরোনামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাবউদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস [বাংলাদেশ] লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের আঞ্চলিক প্রধান সাইমন লিন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের [বিটিআরসি] চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারও এতে বক্তব্য প্রদান করেন।