বাংলাদেশের লোকবল নিয়ে মিডিয়াকম -২৫ বছর পদার্পণে শুভেচ্ছা

04 Jul 2022, 01:13 PM খবর শেয়ার:
বাংলাদেশের লোকবল নিয়ে মিডিয়াকম  -২৫ বছর পদার্পণে শুভেচ্ছা

গত শতকের নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। দেশের ছোটো-বড়ো প্রতিষ্ঠানগুলো তখন তাদের পণ্যের প্রচারণার জন্য নিয়মিত বিজ্ঞাপন তৈরি করছে। তবে প্রক্রিয়াটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। বিজ্ঞাপন নির্মাণ মানেই তখন নানারকম জটিলতা। ফলাফল, প্রোডাকশন-এয়ারিংয়ে বিলম্ব। স্কয়ার টয়লেট্রিজ-এর বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন চালাতে গিয়ে এমন জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেন নতুন বিজ্ঞাপনী সংস্থা খোলার। নাম দিলেন ‘মিডিয়াকম’। শুরুতেই একজনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলো। সেই একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত থেকে ৪ জন নিয়ে প্রথম অপারেশন শুরু। নেওয়া হয় অফিস। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনজগতে পথচলা শুরু হলো মিডিয়াকম-এর।


৯৭-এ প্রতিষ্ঠার পর ছোটো ছোটো পদক্ষেপে এগোতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। অল্পদিনের মধ্যেই পেয়ে যায় বিটিভি-র অ্যানলিস্টমেন্ট। স্কয়ার-এর বাইরের ক্লায়েন্টের সঙ্গেও তৈরি হয় ব্যাবসায়িক সম্পর্ক। ইলেকট্রো মার্ট দিয়ে যাত্রা শুরু। তারপর অ্যাংকর, এসএমসি-সহ একের পর এক নতুন ক্লায়েন্ট যুক্ত হতে থাকে মিডিয়াকমের সাথে। ৪ জন থেকে এমপ্লয়ি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ জনে। ১১ জনকে নিয়ে ১৪০০ স্কয়ার ফিটের প্রথম অফিসে কিছুদিন কাজের পর ব্যবসার পরিসর বড়ো হলে মিডিয়া বায়িংয়ের পাশাপাশি অ্যাডভার্টাইজিংয়ের অন্য বিভাগগুলোও ধীরে ধীরে চালু হতে থাকে। একসময় গুলশানে ৫০জনের সেটআপ নিয়ে নতুন অফিসে স্থানান্তরিত হয় মিডিয়াকম। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই মূলত ফুল ফাংশনিং এজেন্সি হিসেবে মিডিয়াকমের কার্যক্রম শুরু হয়।

পুরোপুরি কার্যক্রম শুরুর অনেক আগে থেকেই একটি বিষয় বেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছিল। স্কয়ার-এর কর্ণধার স্যামসন এইচ চৌধুরী প্রায়ই তার একটি স্বপ্নের কথা বলতেন। তিনি চাইতেন বাংলাদেশের ‘স্কয়ার গ্রæপ’ যেন বাংলাদেশের মানুষের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তার সেই ইচ্ছের প্রতিফলন মিডিয়াকম-এও জোরালোভাবে চেয়েছিলেন মিডিয়াকম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, সে সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় এজেন্সিগুলোর প্রায় প্রতিটির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করতেন প্রচুর বিদেশি নাগরিক। কিন্তু অঞ্জন চৌধুরী চেয়েছিলেন যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন সেক্টরে কাজ করবে, তাই এতে কাজও করবে বাংলাদেশি মানুষেরাই। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে এসেও অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে এই নির্দেশ। মিডিয়াকম তাই পুরোপুরি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এজেন্সি। বাংলাদেশের এই বিজ্ঞাপন এজেন্সি ২০০০-এর পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি, মার্কেটিং কমিউনিকেশন, সোশ্যাল কমিউনিকেশন, মিডিয়া প্ল্যানিং, পাবলিক রিলেশনস, টিভি ও পত্রিকা বিজ্ঞাপন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি প্রচারণামূলক কাজ করে যেতে থাকে। মিডিয়া বায়িং ও প্ল্যানিং দিয়ে কাজ শুরু করলেও একসময় প্রতিষ্ঠানটির ক্রিয়েটিভ ডিপার্টমেন্টের কাজও নিয়মিত নানা সেক্টরে প্রশংসিত হতে থাকে। মিডিয়াকমের শুরুর দিককার সাড়াজাগানো বিজ্ঞাপনের মধ্যে ছিল কনকা টিভির ‘সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ’, প্যান্থার ‘আসল পুরুষ’, স্কয়ার হসপিটাল, মেরিল, জুঁই-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন। এর মাঝে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড [তৎকালীন স্কয়ার কনজ্যুমার প্রডাক্টস লিমিটেড] যাত্রা শুরু করলে একে একে সেটার ব্র্যান্ড রাঁধুনী, রুচি-কে ভোক্তাদের মনে দীর্ঘদিনের জন্য জায়গা করে দিতে বেশ কিছু আলোচিত বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন তৈরি করে মিডিয়াকম। স্কয়ার-এর পাশাপাশি স্কয়ার-এর বাইরের অনেক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে করতে ক্রমশ বাড়তে থাকে সাফল্যের পাতা।

তবে বিজ্ঞাপন সেক্টরে কাজ করতে গেলে একটি জায়গায় আটকে থাকলে চলে না। সময় সময় নিজেদের আপগ্রেডও করতে হয়। তাই তো ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে মিডিয়াকম-এ চালু হয় ডিজিটাল মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট। সাফল্য আসে সেখানেও। সে বছরের মার্চে মিডিয়াকম ‘গুগল পার্টনার’ সার্টিফিকেট অর্জন করে। এই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংস্থা অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে পায় গুগল-এর বিশেষ সুবিধা। ক্রমাগত উৎকর্ষের চেষ্টায় ২০১৭-এর জানুয়ারিতে মিডিয়াকম লিমিটেড অর্জন করে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাডিসন মিডিয়া’-র অ্যাফিলিয়েশন। পরের কয়েক বছর এই দুই বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তির আওতায় মিডিয়াকম তার ক্লায়েন্টদের জন্য ম্যাডিসন মিডিয়ার অপারেটিং সফটওয়্যারসহ প্রচারণার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করার সুযোগ পায়। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং ভারতে মিডিয়াকম কর্মীদের ট্রেনিংয়ের সুযোগও করে দেয় ম্যাডিসন। মিডিয়াকম হয়ে ওঠে একবিংশ শতকের নতুন ধারার বিজ্ঞাপনজগতের অংশ।

প্রায় আড়াই দশকের এই ধারাবাহিক পথচলায় মিডিয়াকমের ক্লায়েন্ট তালিকায় বরাবরই যুক্ত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড কিংবা কোনো কোনো ব্র্যান্ড মিডিয়াকমের হাত ধরেই হয়ে উঠেছে শীর্ষস্থানীয়। আর ওইসব ক্যাম্পেইনের সুবাদে এসেছে ভালো কাজের স্বীকৃতিও। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে চতুর্থ ঢাকা অ্যাড ফেস্টে সর্বাধিক সংখ্যক ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড পায় মিডিয়াকম। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বিজ্ঞাপনজগতে দেশের সবচেয়ে বড়ো স্বীকৃতি ‘কমওয়ার্ড-এর দশম আসরে দ্বিতীয় সর্বাধিক- ২১টি পুরস্কার জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করে মিডিয়াকম লিমিটেড। এর আগের বছরগুলোতেও নিয়মিত বড়ো পুরস্কারগুলো অর্জন করলেও সে বছরেই সর্বাধিক অ্যাওয়ার্ড মিডিয়াকম-এর ঝুলিতে জমা পড়ে। ছোট-বড় নানান সাফল্য, অর্জন আর স্বীকৃতির মালা গেঁথে দেশের বিজ্ঞাপন সেক্টরে ২৫ বছরের মাইলফলক পার করতে যাচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এজেন্সিটি।

মিডিয়াকম যেভাবে এল


মিডিয়াকমের ২৫ বছর পদার্পণ উপলক্ষে কথা হয় এর সিইও অজয় কুমার কুন্ডু-এর সঙ্গে। তিনি বলেন :

২৫ বছরের পথচলা নিয়ে যদি কোনো কথা বলতে হয়, তাহলে প্রথমেই বলতে হবে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মিডিয়া হাউজগুলো থেকে যে সহায়তা ও সমর্থন আমরা পেয়েছি সেটা অসাধারণ। আমার কেন যেন মনে হয়েছে, এরকম একটা প্রতিষ্ঠান করার পরে মিডিয়া বোধহয় বহুদিন ধরে আশা করছিল, আমাদের স্কয়ার গ্ৰুপে বা এরকম একটি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা মার্কেটে আসুক। এই পথযাত্রায় সবচেয়ে বড়ো যে বিষয়টি সেটা আমি বলব, মিডিয়ার সাপোর্ট। ক্লায়েন্টদের সাপোর্ট এবং সর্বোপরি আমাদের [স্কায়র গ্রæপ] ম্যানেজমেন্টের সাপোর্ট। আর সে-কারণেই মিডিয়াকম আজকের এই জায়গায় আসতে পেরেছে এবং ২৫ বছর সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে অতিক্রম করতে পেরেছে। শুধু সুন্দরভাবে অতিক্রমই করেনি, একটা নিজস্ব অবস্থানও তৈরি করেছে। সেই অবস্থানটা যদি আজকে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি এজেন্সির কথা বলতে চান, তার মধ্যে মিডিয়াকমের নাম বলতে হবে। সেটা আমি বলব যে, এটা একটা বড়ো অর্জন। আর এই অর্জনের পেছনে আরেকটা বড়ো হাতিয়ার হচ্ছে, একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থায় বা মিডিয়াকমে যে রিসোর্স পারসনরা ছিলেন বা এখনো আছেন তাদের কথা আমার বলতে হবে। কেননা, এখানে কিন্তু দিনের শেষে যে কাজই আমরা করি না কেন, সবই মানুষ তৈরি করে।

এটা কোনো কারখানা নয় যে, এখানে মেশিনারিজ আছে, এটা এমন কোনো গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি না যে এখানে অনেক ম্যাটেরিয়ালস লাগে। আমাদের র’ম্যাটেরিয়ালস যদি বলেন তো সবই হচ্ছে মানুষ। তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এই জায়গাটিতে যেতে হয়।

এখন কথা হলো এই বিজ্ঞাপনী সংস্থা করার চিন্তা কোথা থেকে এল, চিন্তাটা কার ? এটা আসলে সুন্দর একটা গল্পের মতো, আমি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে স্কয়ার টয়লেট্রিজে যোগ দিই। তখন আমাদের এখানে মার্কেটিং-এর দিকটা দেখতেন সারোয়াত আহমেদ। সারোয়াত ম্যাডামের অধীনে আমি কাজ শুরু করি।

বেশ কিছুদিন কাজ করার পর তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে চলে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর তার জায়গায় নতুন কোনো লোক নেওয়া হয় না। আমি তখন দেখাশোনা করতাম। স্কয়ারের যা কিছু কাজ সবই কিন্তু আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়Ñ অঞ্জন চৌধুরী সরাসরি দেখেন। একটা প্যাকেজিং পর্যন্ত তিনি নিজে দেখেন এবং নিজে সংশোধন করেন, অনুমোদন দেন। তো তাঁর সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে হয়। এভাবে কাজ করতে করতে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে অথবা ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে তিনি একদিন হঠাৎ করে বললেন, আমাদের তো আসলে প্রচুর কাজ। আমরা তো অনেকের সঙ্গেই কাজ করি কিন্তু আমরা এই কাজগুলো করতে গিয়ে বেশ কিছু অসুবিধা মোকাবিলা করি। সেই অসুবিধার মধ্যে তিনি যে একটা বড়ো ব্যাপার বললেন, সেটা হচ্ছে আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটা কাজ দরকার কিন্তু অন্যের ওপর নির্ভর করার ফলে যেটা হয়, আমরা হয়ত সময়মতো সেই কাজটি পাই না। কিন্তু নিজের হাতে থাকলে মানে, আপনার যদি নিজের কাজ হয় সেটা আপনি সেভাবে করতে পারবেন, অন্যের ওপর নির্ভর করলে হয়ত তার সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এরকম একটা অবস্থায় স্যার বললেন, আমার মনে হয় আমাদের বাইরের ওপর নির্ভরতা কমানো উচিত। আমরা কি নিজেরা এরকম একটা প্রতিষ্ঠান করতে পারি না। তখন আমি বললাম, স্যার, আমি তো বুঝতে পারছি না কিন্তু সিদ্ধান্তটা আপনার। এর কিছুদিন পরে তিনি আমাকে হঠাৎ করে আবার একদিন ডাকলেন। ডেকে বললেন, অ্যাই অজয়, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি একটি অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি করবো এবং আমি একটা নামও চিন্তা করেছি। আমি বললাম, স্যার, কী নাম চিন্তা করেছেন। স্যার বললেন, আমি ‘মিডিয়াকম’ নামে একটা অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি করব। এটা হচ্ছে মিডিয়াকম শুরুর গল্প।

তারপরে আবার একটা সভা হলো। সেই সভায় ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, মিডিয়াকমের মূল শক্তি কী হবে ? মিডিয়াকম কী কাজ করবে। মিডিয়াকম বাইরের কাজ করবে, না কি শুধু নিজেদের কাজ করবে এরকম অনেক কথা হলো। তারপর স্যার বললেন, শুরুটা হবে শুধু স্কয়ারের কাজ দিয়ে। তারপর এটাকে অনেক বড়ো করতে হবে এবং একটা পর্যায়ে এটা একটা ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি হবে। এই অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির একটা বড়ো শক্তি হবে এখানে যারা কাজ করবে তারা ; সবাই বাংলাদেশের নাগরিক হবে। আমাদের এই এজেন্সিতে আমরা কোনো বাইরের লোক আনবো না এবং বাইরে থেকে কোনো লোক নেব না। তখন আমি বলছিলাম, স্যার, সব অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি, মাল্টিন্যাশনাল এজেন্সি বাংলাদেশে যারা লিড করছে, তাদের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা বেশিরভাগই আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ অথবা অন্য কোনো দেশের। তখন এমনই ছিল। আমি দেশের নাম বলছি না কিন্তু তারা বেশিরভাগই বাইরের ছিল। মিডিয়া কম আসলে একশ’ ভাগ বাংলাদেশি লোক দিয়ে পরিচালিত হবে।

আমাদের এখন জনশক্তি একশোরও বেশি। এরা নিয়মিত। এর বাইরে চুক্তিভিত্তিক, খÐকালীন এরকম আরও আছে। আর আমাদের অনেক প্রকল্পে আমরা ইভেন্ট বেইজ লোক নিই। ধরুন, একটা নতুন প্রকল্প আসছে, নতুন ক্লায়েন্ট আসছে, তার তিন মাসের ক্যাম্পেইন হবে। এই তিন মাসের জন্য আমরা লোক নিই এরকম।