তারকাশুভেচ্ছা

14 May 2023, 01:40 PM অন্যান্য শেয়ার:
তারকাশুভেচ্ছা

আনন্দভুবন-এর হাত ধরে খ্যাতির শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করেছেন অনেক অভিনয়- নৃত্য ও সংগীতশিল্পী। ২৮ বছরে পদাপর্নে তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা...


আমার ফিল্ম ক্যারিয়ার ও আনন্দভুবনের পথচলা একই সঙ্গে

ফেরদৌস

[অভিনয়শিল্পী]


বলতে গেলে আমার ফিল্ম ক্যারিয়ার ও আনন্দভুবনের পথচলা একই সঙ্গে। তাই আনন্দভুবনের শুরু থেকেই আমার ভালো একটা সম্পর্ক। এখানে কর্মরত সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সবাই ভালো মানুষ। কীভাবে একটি পত্রিকাকে সবার কাছে জনপ্রিয় করে তোলা যায় এটা কর্তৃপক্ষ ভালো করেই জানেন। এবং সেটার প্রতিফলনও আমি পত্রিকাটির পাতায় পাতায় দেখেছি। আমি আনন্দভুবনের একটি সংখ্যায় অতিথি সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছি। এখানকার প্রতিটি মানুষই অসাধারণ। ভালো লেগেছিল কাজ করে। আনন্দভুবন ২৭ পেরিয়ে ২৮ বছর পদার্পণ করছে। এটা সত্যিই আনন্দের সংবাদ। একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন টিকে থাকা মানে হচ্ছে তার সততা ও স্বচ্ছতার প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট হওয়া। ম্যাগাজিনটি সততার সঙ্গে কাজ করেছে বলেই এতগুলো বছর পার করছে। এইভাবে শত বছর বেঁচে থাকুক আনন্দভুবন। আনন্দভুবনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।




আগামীর পথচলা শুভ হোক

অপু বিশ্বাস

[অভিনয়শিল্পী]


প্রথমেই আনন্দভুবন ও আনন্দভুবন পরিবারকে শুভেচ্ছা। আগামীর পথচলা শুভ হোক ম্যাগাজিনটির। আমরা যারা চলচ্চিত্রে কাজ করি তাদের কাজকে দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর অনেক বড়ো একটি মাধ্যম হচ্ছে সংবাদ। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সহযোগিতা করে আসছে আনন্দভুবন। আগামীদিনেও এমনই করবে বলে আশা রাখি। আমি চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে চাইব দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রচার-প্রসারে যেন আনন্দভুবন অতীতের মতোই ভালো পারফর্মেন্স দেখায়। সেইসঙ্গে যেন বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের প্রতি আরও বেশি নজর রাখে। পরিশেষে আনন্দভুবন-এর ২৮ বছর পদার্পণে শুভ কামনা রইলো। 

আমিও আনন্দভুবনের সঙ্গে আছি

দেবাশীষ বিশ্বাস

[চলচ্চিত্র পরিচালক ও উপস্থাপক]


আনন্দভুবনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক দিনের। আমার যখন শুরু তখন বাংলাদেশে যে কয়টা লিডিং ম্যাগাজিন ছিল তার মধ্যে আনন্দভুবন, তারকালোক, আনন্দধারা অন্যতম। সারাজীবন এই ম্যাগাজিনগুলো আমার সঙ্গে ছিল। শুরুতে যে সঙ্গে থাকে সারাজীনবই থাকে। আমিও আনন্দভুবনের সঙ্গে আছি। আনন্দভুবনের সঙ্গে আছি শুধু তাই নয়, আমি আনন্দভুবনের সঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানও করেছি। আনন্দভুবন যখন ফ্যান্টাসি কিংডমে অনুষ্ঠান করে তখন আমি উপস্থাপনা করেছি। আমার অনেক স্মৃতি আছে আনন্দভুবনের সঙ্গে। একটা পত্রিকার বয়স যদি ২৮ বছর হয় তাহলে আমার টেলিভিশন ক্যারিয়ার হবে প্রায় ২২ বছর। তাহলে আমি আনন্দভুবনের সঙ্গে আছি ২২ বছর ধরে। এবং আগামীদিনেও যতদিন আনন্দভুবন থাকবে, আনন্দভুবনও আমার সঙ্গে থাকবে, আমি আনন্দভুবনের সঙ্গে থাকব। আনন্দভুবনের ২৮ বছরে অনেক অনেক শুভাকামনা, অনেক অনেক ভালোবাসা।

একটি বিনোদন পত্রিকা ২৮ বছর ধরে নিয়মিত

শামীম আরা মুন্নী

[জ্যেষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপিকা

একাত্তর টিভি]


আনন্দভুবন আমাকে নিয়ে সুন্দর কাভার করেছে। বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে আরো এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। সেজন্য আনন্দভুবনকে ধন্যবাদ। একটি বিনোদন পত্রিকা ২৮ বছর ধরে নিয়মিত বের হচ্ছে এটা ভেবেই ভালো লাগছে। এরই মধ্যে অনেক পত্রিকা বন্ধ হয়েও গিয়েছে কিন্তু আনন্দভুবন তার স্বমহিমায় এগিয়ে চলেছে। এজন্য আনন্দভুবন ম্যাগাজিনের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। আনন্দভুবন আমাকে নিয়ে যখন প্রথম কাভার করে সেটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। সেটা এখনো আমার ফেসবুক টাইমলাইনে আছে। আমি প্রতিবছরই এটা শেয়ার দিই। শেষে আনন্দভুবনের ২৮ বছরে এটাই বলব, আনন্দভুবন আরো ১০০ বছর তার নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে এগিয়ে যাক। আনন্দভুবনের জন্য ভালোবাসা সবসময়। 

আনন্দভুবনে আমার প্রথম প্রচ্ছদ

চাঁদনী

[মডেল, অভিনয়শিল্পী ও নৃত্যশিল্পী]


আনন্দভুবনে আমার প্রথম কাভার হয় ‘দুখাইয়ের মেয়ে সুখাই’ নামে। সেটার ফটোশুট হয় ইউনিভার্সিটিতে। এবং এম এস রানা আমার সাক্ষাৎকার নেয়। আমার এখনো সেই স্মৃতি মনে আছে। আমার এখনো মনে আছে আমি হলুদ কালারের একটা টপস পরা ছিলাম। তো সেই স্মৃতিটা এখনো আমার মনে গেঁথে আছে। আনন্দভুবনের সঙ্গে ওই সময়ে আমার মতো শিল্পীরা যারা ছিল তারা সবাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। যারা রিপোর্টার বা লেখক ছিলেন তাদের সঙ্গে আমার খুব ভালো সখ্য ছিল। কারণ তখনকার সম্পর্কটা পত্রিকার সঙ্গে ছিল নিঃস্বার্থ। তখন কোনো স্বার্থ ছাড়াই তাদের সঙ্গে আমাদের খুব গাঢ় সম্পর্ক ছিল বলতে পারেন। আরেকটা মজার বিষয় বলিÑ আমিও কিন্তু আনন্দভুবনে নাচের কলাম লিখতাম। ওটা হয়ত অনেকেই জানেন না। বেশ কয়েক মাস গিয়েছিল। এরপর আমার পরীক্ষার কারণে আমি আর লিখতে পারিনি। এই স্মৃতিগুলো আসলেই স্মৃতিচারণের মতো। কিছু জিনিস যে আমরা যতই বড়ো হই না কেন আমাদের এই স্মৃতিগুলো হৃদয়ের অকপটে থেকেই যায়। এটা আমরা আসলে মুছতে পারি না। আমি আনন্দভুবনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আনন্দভুবন যেভাবে ভালোবেসে আসছে সেভাবে আমাকেসহ সবাইকে ভালো বাসুক। আর যখনই আনন্দভুবন আমাকে ডাকবে সবসময় পাবে এটা হচ্ছে বড়ো কথা। 

ম্যাগাজিনের মধ্যে আনন্দভুবন অন্যতম

[আনজাম মাসুদ]

উপস্থাপক ও নির্মাতা


আনন্দভুবন সেই প্রিন্টের যুগে [তখন তো প্রিন্ট ভার্শন সেরকম নাই বলতে গেলে] হাতে গোনা যতগুলো বিনোদন ম্যাগাজিন ছিল তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আনন্দভুবন। আনন্দভুবন তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সবসময় চিন্তা-চেতনায়, গেটআপে- মেকআপে, রুচিতে তার স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এখান থেকে সাংবাদিকরা আজ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় কাজ করছেন সুনামের সঙ্গে। অনেকে নাট্যকারও হয়েছেন। আনন্দভুবনে দীর্ঘদিন ধরে আবৃত্তিকার, নাট্যকার ইকবাল খোরশেদ ভাই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দভুবনের জন্য একটা বড়ো প্লাস পয়েন্ট। ওনার মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ সংস্কৃতিসেবী, সংস্কৃতিকর্মী আনন্দভুবন পেয়েছে। এই পত্রিকাটি এতদিন সুন্দরভাবে সফলতার সঙ্গে চলার একটা কারণও আছে। সেটা হলো বেক্সিমকোর মতো একটা বড়ো গ্রæপ এটার পৃষ্ঠপোষকক। আমার মনে হয় যে, এটা থেকে বেক্সিমকো খুব লাভবান হয় না। কিন্তু তারা বিনোদনকর্মীদের সাথে, বিনোদন নিয়ে যারা কাজ করেন, যারা সংস্কৃতি জগতে আছেন, টেলিভিশনে আছেন, চলচ্চিত্রে আছেন তাদের জানা-অজানা সংবাদগুলো তুলে ধরার জন্য আনন্দভুবন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে এবং আশা করবো যে আরো বহুদিন আনন্দভুবন পথচলা অব্যাহত রাখুক। 

আনন্দভুবনের গ্রহণযোগ্যতা বিস্ময়কর

সজল

[অভিনয়শিল্পী]


পাঠকদের মন জয় করতে পেরেছে বলেই আনন্দভুবন ২৮ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আনন্দভুবনের সাপোর্ট পেয়ে আসছি, সেই সময়ে তেমন একটা বিনোদন সংবাদ ছিল না। তাই আনন্দভুবনের গ্রহণযোগ্যতা আকাশচুম্বী ছিল, এখনো আনন্দভুবনের গ্রহণযোগ্যতা বিস্ময়কর। আর এটা ধরে রাখার মূল কারণ মনে করি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন। একটি ম্যাগাজিন আর শোবিজ অঙ্গন একে অন্যের পরিপূরক। আশা করি আনন্দভুবন নাট্যাঙ্গন ও চলচ্চিত্রের সংবাদ সঠিকভাবে পরিবেশন করে সব সময় তারকাদের পাশে থাকবে দেশের শীর্ষ ম্যাগাজিন হিসেবে। শুধু তারকানির্ভর নয়, সব মানুষের সেরা ম্যাগাজিন হয়ে আনন্দভুবন সবার শীর্ষে থেকেই সামনে এগিয়ে যাবে এটাই আমার কামনা। শুভ জন্মদিন আনন্দভুবন। 

আনন্দভুবনের বিষয়বস্তু আমার খুবই ভালো লাগে

ইমন

[অভিনয়শিল্পী]


সুনামের সঙ্গে একটি ম্যাগাজিনের ২৭ বছর অতিক্রম করা কম কথা নয়। ম্যাগাজিনটি শুরু থেকেই ব্যতিক্রম কিছু করে আসছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। আনন্দভুবনের বিষয়বস্তু আমার খুবই ভালো লাগে। এক ম্যাগাজিনেই রয়েছে বিনোদনের সকল শাখার খবর। আমার মনে হয় এই জন্যেই আনন্দভুবন সকলের প্রিয় ম্যাগাজিন হিসেবে স্থান দখল করে নিয়েছে। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আনন্দভুবনের সাপোর্ট পেয়ে আসছি। আনন্দভুবনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আনন্দভুবনের ২৮ বছর পদার্পণে আনন্দভুবন পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে শুভকামনা রইল হাজার বছর বেঁচে থাকো আনন্দভুবন। আশা করি আগামীদিনেও আনন্দভুবনের এই সাফল্য অব্যাহত থাকবে। 

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আনন্দভুবন আমার সঙ্গে আছে

নিরব

[অভিনয়শিল্পী]


আনন্দভুবনের সঙ্গে সম্পর্কটা অনেক মধুর। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আনন্দভুবনের সহযোগিতা পেয়ে আসছি। সেই সময়ে আনন্দভুবনের একটি প্রচ্ছদ মানেই বিশাল কিছু। একাধিকবার আনন্দভুবনের প্রচ্ছদে এসেছি। এই জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নাটক, সিনেমা, মঞ্চ, নাচ সব খবরই থাকে এই আনন্দভুবন ম্যাগাজিনে। আমি যেহেতু ফিল্মের মানুষ জন্মদিনে একটি চাওয়াই থাকবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বেশি বেশি লিখবে, সেইসঙ্গে আশা করব পূর্বের মতো আগামী দিনেও চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকবে প্রিয় আনন্দভুবন। চলচ্চিত্রের ভালো খবর প্রকাশ করে আমাদের দর্শককে ঢাকাই ছবির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। নতুন বছরে নতুনভাবে আনন্দভুবন পথ চলবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি। পথচলার ২৮ বছরে আনন্দভুবনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। যুগ যুগান্তর ধরে এভাবেই যেন একই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পথ চলতে পারে এটাই প্রত্যাশা করি। 

আনন্দভুবন প্রায় সময়ই আমাকে নিয়ে কাভার করেছে

আশনা হাবিব ভাবনা

[অভিনয় ও নৃত্যশিল্পী]


আনন্দভুবন ২৮ বছরে পদার্পণ করছে এটা জেনে খুব ভালো লাগছে। আমি সেই ছেলেবেলা থেকেই আনন্দভুবনের সঙ্গে জড়িত আছি। আমার অভিনয় শুরুর আগে থেকেই আনন্দভুবনের সঙ্গে কাজ শুরু। তখন আমি নাচ করতাম। আমি আনন্দভুবনে ফ্যাশন শোর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আনন্দভুবন প্রায় সময়ই আমাকে নিয়ে কাভার করেছে। এখনো করছে। আনন্দভুবনের জন্মদিনে আমি এটাই বলবোÑ আনন্দভুবন আরো এরকম ২৮ বছর পার করুক। অনেক অনেক শুভকামনা আনন্দভুবনের জন্য। 

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আনন্দভুবনের সহযোগিতা পেয়ে আসছি

শিরিন শিলা

[অভিনয়শিল্পী]


আনন্দভুবনের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অনেক ভালো। বিশেষ করে এখানে যারা কাজ করেন, তারা খুবই আন্তরিক। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আনন্দভুবনের সহযোগিতা পেয়ে এসেছি। সঙ্গত কারণে আনন্দভুবনের প্রতি আমি একটু বেশিই দুর্বল। আনন্দভুবনের প্রতিটি বিষয়বস্তুতে নতুনত্ব থাকে। এই জন্যে আনন্দভুবনের গ্রহণযোগ্যতা বেশি বলেই আমার মনে হয়। ২৭ পেরিয়ে ২৮ বছরে পা রাখছে আনন্দভুবন। দীর্ঘ এই পথচলা কম কথা নয়। আনন্দভুবনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আনন্দভুবনের একটি বিষয় না বললেই নয়, আর সেটি হচ্ছে কোনো ঘটনা যখন অন্যান্য গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত ও ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকাশ করেÑ আনন্দভুবন সেটা সঠিকভাবে সত্যটাই তুলে ধরে। গুজবে আনন্দভুবন কখনো কান পাতে না। এ বিষয়টি আমার বেশ ভালো লাগে। তাই ম্যাগাজিনটি আমার খুবই প্রিয়। সবসময় আনন্দভুবনের সাফল্য কামনা করি। জয়তু আনন্দভুবন।