চলে গেলেন কাজী রোজী

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার কন্যা সুমী সিকান্দার। তিনি বলেন, কাজী রোজীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে মিরপুরে দাফন করা হতে পারে। এর আগে ৩০ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার শরীরের মাল্টি অর্গান প্রবলেমের কারণে তিনি নিজে শ্বাস নিতে পারছিলেন না। এছাড়া তিনি কোভিড পজিটিভও হয়েছিলেন। কাজী রোজী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার জন্ম ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায়। তার পিতার নাম কাজী শহীদুল ইসলাম। শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন এবং ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে তথ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। কাজী রোজী গত শতকের ছয়ের দশকে কবিতা লিখতে শুরু করেন। কাজী রোজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো : পথঘাট মানুষের নাম (কাব্যগ্রন্থ), নষ্ট জোয়ার (কাব্যগ্রন্থ), আমার পিরানের কোনো মাপ নেই (কাব্যগ্রন্থ), লড়াই (কাব্যগ্রন্থ), শহীদ কবি মেহেরুন নেসা (জীবনী গ্রন্থ), রবীন্দ্রনাথ : রসিকতার কবিতা (গবেষণা গ্রন্থ), কাজী রোজী ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন।