দেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের এক উজ্জল নক্ষত্র,সঙ্গীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা
সন্জীদা খাতুন ২৫ মার্চ, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।
সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ৪ এপ্রিল। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন।
সন্জীদা খাতুন কলেজে পড়াকালীন, থেকেই আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হন।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপবেশকিছু পুরস্কার পান তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)।
এ ছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে তাকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি দেয়। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ‘নজরুল মানস’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পান। ২০২১ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে।