দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন দর্শকপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। তিনি প্রায় ১১ বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৩০ জুলাই সকাল ১১.৩৫ মিনিটে মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়েস হয়েছিল ৫৬ বছর। ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তার লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীসময়ে ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যান্সার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। সম্প্রতি তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
দেশে ব্যান্ডসংগীত যখন বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে সেইসময় ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে শ্রোতাদের মাঝে ছড়িয়ে দেন তার সুর।
জুয়েলের বাবা ছিলেন ব্যাংকার। বাবার চাকরির সূত্রে ছেলেবেলা থেকেই তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাবা-মার অনুপ্রেরণায়ই সংগীতভুবনে আসেন জুয়েল।
১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। সেসময় বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে।
১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম অ্যালবাম 'কুয়াশা প্রহর' প্রকাশ পায়। এরপর 'এক বিকেলে' [১৯৯৪], 'আমার আছে অন্ধকার' [১৯৯৫], 'একটা মানুষ' [১৯৯৬], 'দেখা হবে না' [১৯৯৭], 'বেশি কিছু নয়' [১৯৯৮], 'বেদনা শুধুই বেদনা' [১৯৯৯], 'ফিরতি পথে' [২০০৩], 'দরজা খোলা বাড়ি' [২০০৯] এবং 'এমন কেন হলো' [২০১৭] ১০টি একক অ্যালবাম প্রকাশ পায় এই শিল্পীর।