এবার ঈদে বালুচর ফ্যাশন হাউজে বৈচিত্র্যময় পাঞ্জাবির সমাহার

24 Mar 2025, 02:24 PM অন্যান্য শেয়ার:
এবার ঈদে বালুচর ফ্যাশন হাউজে বৈচিত্র্যময় পাঞ্জাবির সমাহার


‘ফ্যাশন ফর ক্রিয়েশন’ এই স্লোগানটি নিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য ও ফ্যাশনকে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরতে ‘বালুচর’ ফ্যাশন হাউজটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট। প্রতিষ্ঠাতা ডিজাইনার শাহীন চৌধুরী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে। কিছু একটা করার তাগিদ থেকেই মূলত বালুচরের জন্ম যা পরবর্তীসময়ে ভালোবাসায় পরিণত হয়। এই ফ্যাশন হাউজকে অনন্য এক মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দিন দিন একটু একটু করে পূরণ করছেন তিনি। মূলত পাঞ্জাবিতে দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পাশ্চাত্য হালফ্যাশনের ফিউশন ঘটিয়ে বালুচর তৈরি করেছে নিজস্ব একটি ধারা।

এবার ঈদে বালুচর ফ্যাশন হাউজের সব আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে হরেকরকম ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় পাঞ্জাবি। বালুচরের পণ্যসম্ভারের মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাবিকুর্তাপায়জামাকটিফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট। রয়েছে রেগুলার স্নিম ফিট- উভয় ধরনের এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবির বিশাল সংগ্রহ। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্র করে থিমভিত্তিক পাঞ্জাবিও তৈরি করা হয়। বালুচর ফ্যাশন হাউজ খুচরা ও পাইকারি মূল্যে পোশাক বিক্রি করে থাকে। ঢাকা আজিজ সুপার মার্কেটে বালুচর-এর ৩টি শোরুম রয়েছে। তাছাড়া গাজীপুরমুন্সীগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের নতুন শোরুমসহ সারাদেশে ৬টি শাখা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো শোরুম বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া কাপড়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই দেশীয় কাপড়ই প্রাধান্য পায় কিন্তু দেশি ও বিদেশি কাপড়ের একটা ফিউশন থাকে বালুচর-এর পোশাকে। বর্তমান বাজারে প্রতিযোগিতা কেমন বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠাতা শাহীন চৌধরী বলেন, ‘বর্তমান বাজার স্বাভাবিকভাবেই আগের চেয়ে অনেক বড়ো হয়েছে। প্রতিযোগিতাও বেড়েছে। আগে খুব কম পুঁজি নিয়েই ব্যবসা শুরু করা যেত। কিন্তু এখন সেটা করা যাচ্ছে না। ছোটো ছোটো বিনিয়োগের উদ্যোক্তাগণ ঠিক পেরে উঠছে না। তবে, আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশে একটা শক্তিশালী অনলাইন মার্কেট তৈরি হয়েছে করোনাকাল থেকে। এই সেক্টরে ছোটো ছোটো উদ্যোক্তাগণ কম পুঁজি দিয়েই ভালো মার্কেট ধরতে পারছেন। ‌‌‌

যাত্রাকাল থেকেই ‘বালুচর’ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলদিন দিন সেই স্বপ্ন ডালপালা মেলেছে। তবে, এতদূর আসতে পেরে শাহীন চৌধুরী বেশ খুশি। দেশীয় ঐতিহ্য দেশীয় কাপড়কে আরো ফ্যাশনেবল করে তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে পারা অনেকখানি তৃপ্তির বলেই মনে করেন শাহীন চৌধুরী।

শাহীন চৌধুরী